জীবজগৎ
আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বস্তু, এদের কারাে জীবন আছে আবার কারাে নেই। চেয়ার, টেবিল, হাঁড়ি-পাতিল, ইট, লােহা কেমন বস্তু? আবার আম, জাম, কাঁঠাল, শাপলা, ইলিশ, কই, রুই, গরু, হরিণ, মানুষ এরাই বা কী?
যাদের মধ্যে জীবন নেই তারা জড়। আবাৰ যাদের মধ্যে জীবন আছে তারা জীব। প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের জীৰ আছে। যেমন : উদ্ভিদ, মানুষ, গরু, ছাগল, মাছ, পাখি ইত্যাদি। পানির শেওলা বা ব্যাঙের ছ্যতাও জীব। এ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া অতিক্ষুদ্র জীব । এ সকল জীব নিয়ে জীবজগৎ গঠিত হয়েছে ।
জীব প্রধানত ২ প্রকার, যথাঃ- প্রণী জীব, ঊদ্ভিদ জীব।
জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্য
চলনঃ- জীব চলাচল করতে পারে। প্রণী জীব এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারে এবং উদ্ভিদ জীব বেরে উঠার সাথে সাথে ডগা নারাচারা করে।
খাদ্য গ্রহণঃ- প্রতিটি জীব-ই খাদ্য গ্রহণ করে।
প্রজননঃ- প্রতিটি জীব ই বংশ বিস্তার করে থাকে। উদ্ভিদ জীবের চারা হয় আর প্রাণী জীবের বাচ্চা হয়।
রেচনঃ- প্রতিটি জীব-ই বিষেশ পক্রিয়ায় তার শরিরে উৎপাদিত বর্জ ত্যাগ করে থাকে।
অনুভুতিঃ- সব জীবে-ই অনুভূতি আছে, আঘাত পেলে ব্যাথা পায়। উদ্ভিদ ও একই কিন্তু খালি চুখে বুঝা যায়।
শ্বাস-প্রশ্বাসঃ- প্রতিটি জীব জন্মের পর থেকে শ্বাস গ্রহন করে ও ত্যাগ করে থাকে। মৃত্যু পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
বৃদ্ধিঃ- প্রতি টি জীব জন্মের পর থেকে আসতে আসতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অভিযোজনঃ- একটি জীব সহজেই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে পারে।
জীবজগৎ এর শ্রেণীবিন্যাস
জীবজগৎ কে উদ্ভিদ রাজ্যে এবং প্রাণী রাজ্যে শ্রেণিবিন্যাস খুব সরলভাবে করা হয়েছিল এবং বুঝতেও সহজ ছিল। কিন্তু, বিপুল সংখ্যক জীব উদ্ভিদ বা প্রাণী রাজ্যের একটার মধ্যেও পড়ছিল না। তাই, দীর্ঘকাল যাবৎ ব্যবহৃত হওয়া দুই রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি অপর্যাপ্ত বলে পরিগণিত হল। জগতকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ যথাঃ
- মনেরা
- প্রোটিস্টা
- ফাংগি
- প্লান্টি
- অ্যানিম্যালিয়া
Thanks