স্নায়ু যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নীত হয় যার ফলে এর ভূমিকা নতুন করে আলোচিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ বিশ্বরাজনীতিতে একমাত্র পরাশক্তি। আজ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। কেননা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চেষ্টা, বসনিয়া সংকটের সমাধান, উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সর্বশেষে আফগানিস্তানের তালেবান সমস্যার সমাধানে মার্কিনীদের ভূমিকাকে সমানের দিকে নিয়ে এসেছে। এর ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সমালোচিত কম হয়নি। তার পরেও বিশ্বরাজনীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে।
স্নায়ু যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একক পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা :
১। সামরিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ :
সামরিক শক্তিই হচ্ছে Power Politics-এর মূল নিয়ামক। সামরিক শক্তির ভয় দেখিয়ে অন্য রাষ্ট্রের উপর নিজের এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শান্তি প্রক্রিয়ার নামে মার্কিনীরা ইরাকে সামরিক শক্তির প্রয়োগ করেছে। পানামা, হাইতি, কিউবায় সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালিয়েছে।
১৯৯৪ সালে হাইতিতে জেনারেল সেড্রাস কর্তৃক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যা বার্ট্রান্ড অ্যারিস্টাইড ক্ষমতা চ্যুত হলে মার্কিন – যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ২০ হাজার সৈন্য ও যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছিল। সেখানে সেড্রাসকে সরিয়ে অ্যারিস্টাইডকে ক্ষমতায় পূর্ণবহাল করেছিল। হাইতিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মার্কিন সামরিক শক্তির প্রাধান্যের কারণে সম্ভব হয়েছিল।
ন্যাটো (NATO) গঠন :
১৯৪৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের ডকট্রিন (Dotrine) এর আলোকে NATO গঠিত হয়। NATO গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রিস, তুরস্কসহ পশ্চিম ইউরোপে কম্যুনিস্ট প্রভাব রোধ করা। ৯০ এর দশকে USSR এর পতন হলেও NATO এর অস্তিত্ব বহাল আছে এবং ন্যাটোতে রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ন্যাটোর সম্প্রসারণ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত এ জোটকে আরো শক্তিশালী করেছে। সে সাথে একক পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, আঞ্চলিক আগ্রাসন, জাতিসংঘ সংঘাত নিরসনের নামে যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যেমন : বসনিয়া হারজেগোভিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র NATO’য় ২০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছিল। এটা পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন বৈদেশিক নীতির বিশেষ দিক ছিল।
পড়ুনঃ- বিশ্ব মুড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অস্ত্র ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ :
উন্নয়নশীল বিশ্বে অস্ত্র বিক্রি করে বৃহৎ শক্তিগুলো সেখানে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করে নেয় ৷ বৃহৎ শক্তিগুলোর পররাষ্ট্রনীতিতে অস্ত্র সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থাৎ গ্রহীতা দেশকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় এবং এ নির্ভরশীলতাকেই বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন রাষ্ট্রে অস্ত্র সরবরাহ তথা ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। “THe Economist” পত্রিকার মতে, বিশ্বের অস্ত্র বাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে। ১৯৯০-৯৪ সময়কালে এর পরিমাণ ছিল মোট সরবরাহের ৪৬ ভাগ ।
মুদ্রা রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে :
বর্তমান এককেন্দ্রিক ↑ বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করছে। কেননা নয়া বিশ্ব ব্যবস্থায় উন্নয়নশীল বিশ্ব তথা প্রান্তিক রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় অর্থনীতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকাংশেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুকম্পার উপর নির্ভরশীল। তাই ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রগুলো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক বৈদেশিক নীতিনির্ধারণ করছে।
মিডিয়া ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ :
মিডিয়া ও প্রযুক্তির একচ্ছত্র আধিপত্যের বদৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের স্বর্ণযুগের চেয়েও অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে । BBC, CNN, টাইম ও VOA প্রভৃতি নিউজ মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়তই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে কাজ করছে।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ :
বর্তমান নয়া বিশ্বব্যবস্থা কেন্দ্রে (Centre) অবস্থান করছে মার্কিন ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রগুলো। যদিও বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান এলিট ক্লাবের নিয়ন্ত্রণাধীন। তথাপি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্য পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’র উপর দারুণভাবে নির্ভরশীল।
কূটনৈতিক শক্তি প্রয়োগ :
জাতীয় স্বার্থরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে কূটনীতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কূটনীতির মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি কার্যকর হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার বৈদেশিক নীতি পরিচালনা করেছে এবং পরাশক্তি হিসেবে USA এর ভূমিকা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য তার বৈদেশিক নীতিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েছে।
(ক) রাশিয়ার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখায়;
(খ) জাপানের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং অঘোষিত ট্রেড ওয়ার এড়ানো;
(গ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি রাজনৈতিক সমাধানে আসা, ও
(ঘ) মার্কিনীরা উল্লিখিত ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছে।
সে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া, হাইতিতে গণতন্ত্র রক্ষায়, হেবরণ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে, ডেটন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করার বিরুদ্ধে এবং আফগানিস্তানের তালেবানদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছে এবং চালাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিয়ন্ত্রণ :
বিশ্বব্যাপী একটি মুক্ত বাজার প্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে ব্রেড উডস এ একটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনটি সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তিনটি সংস্থা হচ্ছে- IBRD, IMF, WTO এ সংস্থাগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ব্যবসায়, অর্থনীতি, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংস্থা গুলোকে ব্যবহার করে থাকে।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট নয়া বিশ্বব্যবস্থায় সকল দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। যেমন—
(ক) পরাশক্তি হিসেবে টিকে থাকার জন্য USA বিশ্বব্যাপী
পুলিশি তৎপরতার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।
(খ) মার্কিন বিরোধী তৎপরতাকে নির্মূল করার জন্য তাদের স্বার্থ পরিপন্থি মতবাদকে মৌলবাদ এবং গণতন্ত্র মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে।
(গ) বিশ্বে অস্ত্র সরবরাহ ও সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে মার্কিন প্রভাব :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী শক্তিসমূহ তাদের অধিকৃত দেশগুলোকে একে একে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হয়। এ শক্তিগুলো তখন ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছিল। ফলে সদ্য স্বাধীন দেশগুলোতে প্রভাব
বিস্তারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসে। এসব রাষ্ট্র ঔপনিবেশিক শাসন থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করলেও অর্থনৈতিক সহায়তা লাভের জন্য মার্কিন নির্ভর হয়ে পড়ে।
কোনো কোনো স্বাধীন দেশ সামরিক দিক থেকে পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’র ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যা ঔপনিবেশিকতারই নামান্তর মাত্র। উদাহরণস্বরূপ- দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত প্রভৃতি দেশ সামরিক বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
আবার কোনো কোনো দেশ আশ্রিত রাষ্ট্র হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য পেয়ে থাকে। যেমন— ইসরাইল, দক্ষিণ কোরিয়া, হায়দার আল আবাদির, ইরাক, নুরী আল মালিকি ও আবদুল ফাত্তাহ সিসির মিশর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সরাসরি সাহায্য পেয়ে থাকে।
জাতিসংঘে কর্তৃত্ব :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সোভিয়েন ইউনিয়ন, চীন ও গ্রেট ব্রিটেন অনেক আলাপ-আলোচনার পর জাতিসংঘ গঠন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে ১৯৪৫ সালের এপ্রিল হতে জুন মাসে ৪৬টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতিসংঘ গঠনের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপায়িত করা হয় ।
পরবর্তীকালে আরো ৫টি দেশের প্রতিনিধিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোবিয়েত ইউনিয়ন, গ্রেট ব্রিটেন, চীন ও ফ্রান্সকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পঞ্চম বৃহৎশক্তি হিসেবে ‘ভেটো’ দেবার অধিকার দান করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের পরবর্ত ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক পরাশক্তির শক্তিমত্তার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। পশ্চিমা শক্তিগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব খাটাচ্ছে।
সম্পদের প্রাচুর্য:
পৃথিবীর সর্বাধিক বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে যে দেশটির অবস্থান সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয় সে দেশটিই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। জমি উর্বর ও খনিজ সমৃদ্ধ। সীসা, তামা, দস্তা, বক্সাইট, ফসফেট, সোনা, রূপা, পারদ, ইউরেনিয়াম, লৌহ, অ্যালুমিনিয়াম, গন্ধজ, জিপসাম, চুনাপাথর, কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্রাস প্রাচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যে রাজ্যে।
দেশের প্রায় ৩০ স্থান বনাচ্ছন্ন যা ভালো জাতের কাঠে ভরা। যুক্তরাষ্ট্র ভারী শিল্প, মাঝারি শিল্প, সব শিল্পেরই কাচামালই সমৃদ্ধ। সেজন্য ডেট্রয়েট, শিকাগো প্রভৃতি অঞ্চল ভারী শিল্পের কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠেছে। আবার টেসাস, কেনসাস প্রভৃতি রাজ্য কৃষি সম্পদে সমৃদ্ধ, মাইলের পর মাইল উর্বর কৃষি জমিতে গম, যব, তুলা ও ভুট্টা চাষ হচ্ছে। দেশটিতে এতো অধিক গম উৎপাদিত হয় যে, দেশজ চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর গম তৃতীয় বিশ্বে রপ্তানি ও সাহায্য বা দান হিসেবে দেয়া হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে,
স্নায়ুযুদ্ধোত্তর বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক কথায় পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলতে গেলে বিষয়টা USA-এর একক কৌশল। আর বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সেমি পাওয়ারগুলো ও যে Power Politics প্রয়োগ করছে না তা কিন্তু সঠিক নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ অন্যান্য সাব সিস্টেম Sub-system গুলোও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ক্ষমতা প্রয়োগ করছে।