ডিম নিয়ে কথা না বললেই নয় কেননা ডিম নানান উপায়ে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকারী হল ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া। তাহলে আজ ডিম নিয়ে শুরু করা যাক।
সিদ্ধ ডিম কেন খাবেন?
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে।
ওজন কমায়:
সুসিদ্ধ ডিম চর্বিহীন প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। এটা শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ না করেই অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। দুপুর বা রাতে খাবার খাওয়ার সময় দুটি করে সুসিদ্ধ ডিম এবং সাথে এক কাপ সবজি খান যা আপনাকে ২৭৪ ক্যালরির যোগান দিবে।
হাড় সুদৃঢ় করে:
অনেকেরই অজানা যে প্রসব পূর্ব বিকাশে অতি-সিদ্ধ ডিম, ভিটামিন ডি’য়ের পাশাপাশি বেশ ভালো কাজ করে। এটা শিশুর দাঁত, হাড় বৃদ্ধিতে কার্যকরী পাশাপাশি সাধারণ বৃদ্ধিতে বেশ সহায়তা করে থাকে।
বিপাক বৃদ্ধি সহায়তায়:
সিদ্ধডিম একটি উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খা্বার খাওয়া তাপীয় প্রভাবের কারণে বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে। এর কারণ হল খাবার হজম করতে ও পুষ্টি প্রক্রিয়াকরণ করতে বেশি ক্যালরি ব্যয় হয়। সিদ্ধডিম খাওয়ায়, বেশি কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি খাওয়ার তুলনায় বেশি ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে। যার ফলে বিপাক বৃদ্ধি পায়।
সিদ্ধ ডিম কোলিনের ভালো উৎস:
আমরা জানি মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে কোলিন সাহায্য করে। এটা মস্তিষ্কের মেম্ব্রেন ও পেশি সুগঠিত রাখতে সাহায্য সহায়তা করে, যা মস্তিষ্কের ঝিল্লি গঠন করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং এটা স্নায়ু থেকে পেশিতে সংবেদন পৌঁছাতে সহায়তা করে থাকে।
চোখ, চুল ও নখের জন্য উপকারী:
সিদ্ধ ডিমের অনেক উপকারিতার মধ্যে চোখের উপকারী একটি। প্রতিদিন একটা করে সিদ্ধ ডিম খেলে ‘ম্যাকুলার’ ক্ষয় কমবে। কারণ সিদ্ধ ডিমে আছে লুটেইন ও জ্যাক্সেন্থিন।
আপনি জানেন কি, সিদ্ধ ডিম খাওয়া চোখের ছানি পরা বা হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ডিমে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকায় তা ভিটামিন ডি’য়ের ভালো উৎস। যা চুল ও নখ ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
পরিশেষে বলা যায় যে সিদ্ধডিম আমাদের নানান ভাবে উপকার করে থাকে।
আপনার যদি এমন সব লিখা থাকে বা লিখতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল। পাশাপাশি কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজনের সাথে।