Home সরকারি চাকরি পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ

বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ

0
পুলিশে নিয়োগ

বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ চারটি পর্যায়ে প্রকাশ ও দিয়ে থাকে।

যথাঃ-

১। এসএসসি পাশ যোগ্যতায় পুলিশ কনস্টেবল।

২। ডিগ্রি বা অনার্স ও সমমান যোগ্যতায় পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই)।

৩। অনার্স – ডিগ্রি ও সমমান যোগ্যতায় পুলিশ সার্জেন্ট।

৪। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার (এ এস পি)।

অন্তত প্রতি বছর-ই বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে বিশেষ কোন কারণে তা পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন বর্তমান বছরে এই সময়ে নিয়োগ প্রকাশের কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে হচ্ছে না।

নিয়োগ প্রকাশিত হলে এইখানে  জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ

বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে নিয়োগ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হতে চুড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পুলিশ সার্কুলার আকারে জারী করা হয়। সাধারণত পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার এক-দেড় মাস পূর্বে পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ

নারী পুরুষ সবাই নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে কমপক্ষে এসএসসি বা সমমান পাশ হতে হবে। সেই সাথে বেশ কিছু শারিরীক যোগ্যতা থাকলে আপনি খুব সহজে পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ পেতে পারবেন।
অন্য-আন্য চাকরির মত পুলিশে কোঠা রয়েছে, যথাঃ- পোষ্য, মুক্তিযোদ্ধা, এতিম ইত্যাদি।

বয়স-

  • সাধারণ কোঠার প্রার্থীর জন্য বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর।
  • মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৩২ বছর।
  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সন্তানের (নাতি-নাতনি)জন্য বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর।

শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতাঃ

  • এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ হতে হবে।
  • অবিবাহিত হতে হবে।
  • অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ি নাগরিক হতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা
নারী ও পুরুষ প্রার্থীদের মধ্যে শারীরিক যোগ্যতার ভিন্নতা রয়েছে। নিছে চক আকারে দেয়া হল,

শারীরিক যোগ্যতা পুরুষ প্রার্থী নারী প্রার্থী
উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
মুক্তি কোঠার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
ওজন উচ্চতা অনুযায়ি উচ্চতা অনুযায়ি
বুক স্বাভাবিক-৩২ ইঞ্চি, প্রসারণ-৩৪ ইঞ্চি প্রয়োজ্য নয়

 

উক্ত যোগ্যতা থাকলে আপনি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কনস্টেবলে নিয়োগ পক্রিয়।

শারীরিক পরীক্ষাঃ
প্রাথমিক বাছাইয়ে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনোনিত হতে হলে প্রার্থীকে প্রথমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত স্থানে যথা সময়ে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক মাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান করে হবে। প্রবেশপত্রে লিখিত পরীক্ষার স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

লিখিত পরীক্ষাঃ

শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে ৪০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। এই লিখিত পরীক্ষার সময় সীমা ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। সাধারণত ৪৫% নাম্বার প্রাপ্ত প্রার্থীগণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যারা মেধা তালিকার শীর্ষে থাকে, তাদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীকে কেবলমাত্র পরবর্তী পরীক্ষায় জন্য মননিত করা হয়।

 

মৌখিক পরীক্ষাঃ
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্দিষ্ট তারিখে ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এখানেও কমপক্ষে ৪৫% নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়। সবগুলো পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারের সমন্বয়ে যারা শীর্ষে থাকবে তাদের মধ্যে থেকে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়।

(পুলিশ ভ্যরিফিকেশনের মাধ্যমে তাদের তাদের চারিত্রিক এবং অন্য-আন্য দিক দেখে তাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।)

মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষাঃ

সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা চুড়ান্তভাবে মনোনিত হবেন, তাদেরকে শারিরীক কোন সমস্যা আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য একটি মেডিকেল টেস্ট হয়ে থাকে। এই মেডিকেল টেস্টে সাধারণত রক্ত পরীক্ষ, এইচআইভি টেস্ট, ডোভ টেস্ট বা মাদকাশক্তি সহ আরো কিছু পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল ফিটনেস যাচাই করার পর যারা যোগ্য প্রার্থী হবেন তাদেরকে মৌলিক প্রশিক্ষন গ্রহনের জন্য এপয়নমেন্ট লেটার দেওয়া বা পাঠানো হয়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

error: Content is protected !!
Exit mobile version