Home লাইফ স্টাইল উদ্যোক্তা কর্ম কৌশল – সফলভাবে টিমওয়ার্কের কৌশল।

কর্ম কৌশল – সফলভাবে টিমওয়ার্কের কৌশল।

0

কৰ্ম কৌশল – সফলভাবে টিমওয়ার্কের কৌশল
একসাথে দলগত হয়ে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান দ্রুত বের করা যায়। এছাড়াও তৈরি, হয় নানা ধরনের নতুন ভাবনা। যে কাজগুলো করলে তৈরি হবে কার্যকর ও কর্মদক্ষ একটি টিম বা দল। সে বিষয়ে কিছু কার্যকর কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো।

লক্ষ্য ঠিক করে কাজ বন্টন করা

সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য ঠিক করে টিম মেম্বারদের কাজ বন্টন করুন। এর মাধ্যমেই দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ সম্পন্ন করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

সময়ের মূল্য দেওয়া

নিজেরসহ অন্যদের সময়ের দিকে খেয়াল রেখে কাজ করুন। এতে পুরো টিমের আউটপুট বেশি হবে। সবসময় চেষ্টা করুন কম সময়ে বেশি আউটপুট দিতে।

সুসম্পর্ক বজায় রাখা

টিম মেম্বাররা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হলে সকলের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। যা সুচারুভাবে কার্য সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা

দলের একজনের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকলে সবার মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই মেম্বারদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারলে কাজে গতি আসবে।

একাত্মবোধ গড়ে তোলা

যেকোনো কাজে যখন সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকে, তখন কাজটা সহজ হয়ে যায় এবং ভালো ফলাফলও পাওয়া যায়। তাই দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে একাত্মবোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

সবার সাথে সমান আচরণ করা

একজন যোগ্য ও ভালো টিম মেম্বার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে প্রশ্রয় না দিয়ে কাজের দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু বিচার করেন। তাই কাজের স্বার্থে সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

কাজে উদ্যম, সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা

বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া যখন একসাথে হয়ে নতুন কিছু তৈরি হয়। তখনই কাজে উদ্যমতা আসৈ। কাজের প্রতি স্পৃহা বাড়ে। এভাবে একসাথে কাজ করলে সৃজনশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়।

নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করা

যোগ্য টিম মেম্বার হিসেবে নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করতে হবে নিজের সামর্থ্য ও মেধার পুরোটা দিয়ে কাজ করার পর প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

অন্যের কাজে সাহায্য করা

নিজের কাজের পাশাপাশি প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতাও থাকতে হবে। যাতে কাজ আরও দ্রুত ও ভালো হয়। এখানে নিজেকে ব্যক্তি না ভেবে একটি ইউনিটের অংশ ভাবা ।

ভুল স্বীকারের মানসিকতা থাকা

যোগ্য টিম মেম্বার হতে হলে অবশ্যই ভুলকে স্বীকার করার মানসিকতা থাকতে হবে। ভুল স্বীকার করে তা শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।

সম্ভাব্য ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা

কোনো কাজ করতে হলে সেখানে নানা সমস্যা আসতে পারে। সেগুলো মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে ঝুঁকি নেবার মানসিকতা থাকতে হবে।

টিমের সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সমাধান করা

সদস্যদের মাঝে দ্বন্দ্ব বা মতের অমিল অস্বাভাবিক নয়, তবে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে হবে। দলীয়ভাবে সকল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে নিজেদেরকেই।

সবার পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া

টিমের অন্য মেম্বারদের কাজ সম্পর্কে আইডিয়া ও পরামর্শ নিতে হবে এবং তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। টিমে বিভিন্ন মনের মানুষ থাকায় তাদের ফিডব্যাক কাজকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

পরিশেষে বলা যায়

যেকোনো কাজে সাফল্যের জন্য ভালো টিমওয়ার্কের কোনো বিকল্প নেই। এভাবে টিমওয়ার্ক সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখার পাশাপাশি, ভালো একজন টিম মেম্বার হতে পারলেই সাফল্য হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

error: Content is protected !!
Exit mobile version