কর্ম কৌশল : কম সময়ে বেশি কাজ। টাইটেল দেখেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন। চলুন শুরু করা যাক।
সময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সময়ের অপব্যবহারে মানুষের জীবন অর্থহীন হয়ে যায়, আবার সময়ের পরিপূর্ণ ব্যবহারে কেউ হয়ে ওঠে সফল ও ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী। সময়কে কাজে লাগানোর এমন কিছু কার্যকর কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো।
কাজের লক্ষ্য স্থির করা।
লক্ষ্য স্থির করে কাজ করলে দ্রুত বা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করা যায়। এতে মনের সাথে কাজের যোগসূত্র রচিত হওয়ায় কাজ সুচারুরূপে করা যায়।
কাজের তালিকা তৈরি ও কঠোরভাবে মেনে চলা।
আগের রাতে পরবর্তী দিনের কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে। সাথে আনুমানিক সময় নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। সে সাথে কাজের তালিকা কঠোরভাবে মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
একই ধরনের কাজগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করা।
একই ধরনের কাজগুলো একবারে করে ফেললে অনেক সময় বেঁচে যায়। আর এতে মনোযোগও অটুট থাকবে। তাই একই ধরনের কাজ গুলো তালিকায় সাজিয়ে নিতে হবে।
পূর্ব কাজের সূত্র ধরে কাজ করা।
অনেক সময় পূর্বের কাজের ধারাবাহিকতায় নতুন কোনো কাজ হাতে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে ই-মেইল, প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট ইত্যাদি পূর্বের কাজের কিছু অংশ পুন:ব্যবহার করে অল্প সময়ে কাজ সেরে ফেলা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। এতে মানসিক তৃপ্তি বেড়ে যাবে, ফলে পরবর্তী কাজগুলোকে আরো বেশি গতিতে এগিয়ে যাবে।
কাজের দক্ষতা বাড়ানো।
কাজে দক্ষতা থাকলে অল্প সময়ে বেশি কাজ করা যায়। তাই নিয়মিত কাজগুলোতে অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতা আনয়ণ করতে পারলে সময় বাঁচিয়ে অধিক কাজ করা যায়।
ই-কমার্স, এক নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশ। ই কমার্স নিয়ে বিস্তারিত।
এক সাথে একাধিক কাজ না করা।
এক সাথে একাধিক কাজ করলে কখনোই তা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয় না। এক্ষেত্রে কর্মদক্ষতাও কমে যায়। তাই উচিত একটি কাজ শেষ করার পর অপরটি শুরু করা।
সময়ানুবর্তিতা মেনে চলা।
কম সময়ে বেশি কাজ করতে হলে অবশ্যই সময় বেঁধে কাজ করতে হবে। কাজের জন্য বরাদ্দকৃত সময়েই তা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।
কাজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া।
কাজের ভুল নিয়ে চিন্তা করতে হবে, একই সাথে নিজেকে শুধরাতে হবে। এতে পরবর্তীতে একই ভুলে সময় নষ্ট হবে না।
মনোযোগ অটুট রাখা।
কাজ করার সময় মনোযোগ না থাকলে তা শেষ হতে সময় বেশি লাগে। প্রয়োজনে কাজ করার সময় মোবাইল ফোন বন্ধ বা Silent Mode এ রাখা যেতে পারে। একইভাবে বাসায় থেকে কাজ করার সময় পারিবারিক জীবন আলাদা রেখে কাজ করতে হবে।
সময় নষ্ট করে এমন কাজ পরিহার করা।
সময় নষ্ট করে এমন কাজ বা ক্ষেত্রগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। ফেস(ক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হলেও অনেক সময় তা সময় নষ্টেরও কারণ হয়। তাই এর পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া অকারণে ইন্টারনেট ঘাটাঘাটিও বাদ দিতে হবে।
প্রতিটি জিনিস যথাস্থানে রাখা।
কাগজপত্র, চাবি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস কাজ শেষে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। নইলে এগুলো খুঁজতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে এবং মনোযোগে বিঘ্ন ঘটবে।
কাজের ফাঁকে বিরতি নেয়া।
কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই ছোট ছোট বিরতি নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বাড়বে, শরীর ক্লান্তিহীন থাকবে এবং মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকবে। ফলে কাজের গতি বাড়বে।
পরিশেষে
কথায় আছে সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। সময়ের পরিকল্পিত ব্যবহারই কম সময়ে বেশি কাজ করার মূল মন্ত্র। আর এটি করতে পারলেই সাফল্যের স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছানো সম্ভব হবে।