Monday, 23-December, 2024
Homeঅনলাইন আয়ব্লগিংব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করা বা করবেন কিভাবে ?

ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করা বা করবেন কিভাবে ?

আমরা অনেকেই ভাবি কীভাবে ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করবেন, আর আপনি তাদের মধ্যে একজন হলে এই পোস্ট আপনার জন্য। মনযোগ সহকারে আর্টিকেল টি শেষ করুন আশা করি আপনি ভাল ধারনা পাবেন। তা-হলে দেরি না করে শুরু করুন।

ব্লগিং থেকে কীভাবে টাকা উপার্জন করবেন?

এটি একটি কমন ও সাধারন প্রশ্ন। অনেকেই আছেন ব্লগিং করতে চান কিন্তু সঠিক ধারনা না থাকার কারনে পারছেন না তাই আজ আপনাদের বলব কি ভাবে ব্লগিং থেকে আমরা টাকা আয় বা উপার্জন করে থাকি। ব্লগিং এর জন্য আপনাকে ব্লগিং সাইট থাকতে হবে হয় ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার সাইট। আমাদের সাইট হল ওয়ার্ডপ্রেস সাইট। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ব্লগ ও ব্লগার কি? জানতে এই লিখা টি দেখুন।

ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে ভাল মানের ব্লগিং করতে হবে অর্থাৎ আপনার ব্লগ সাইটে ভিজিটর আসতে হবে এবং ব্লগকে অবশ্যই মনিটাইজ করতে হবে।
মনিটাইজ কি? জানতে ভিজিট করুন
আপনার কাংখিত ব্লগ সাইট কে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারে। আমরা ভেবে নিব যে আপনার ব্লগ সাইট আছে আর যদি নাও থাকে তাহলে আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন তাইত আমাদের এই আর্টকেলে আসছেন। আপনার যদি কোনও প্রকার ব্লগ সাইট থাকে বা এইরকম কিছু শুরু করার কথা ভাবছেন তাহলে আপনার  উপার্জন করার সুবিধা আছে।
ব্লগকে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারবেন। আপমরা এই আর্টিকেলে অনলাইনে আয় সংক্রান্ত বিভিন্ন মাধ্যম ও ডিজিটাল কন্টেন্ট মনিটাইজ করার সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

 

আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য নিছে বেশ কিছু অনলাইন পদ্ধতি আছে। যথাঃ

১। এডসেন্স বিজ্ঞাপন (অন্য আরও কম্পানি আছে তবে গুগল এডসেন্স বেস্ট)

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং

৩। ড্রপ শিপিং

৪। সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পন্য বিক্রয়।

৫। ট্রেনিং বা অইলান ভিবিন্ন কোচিং করানো।

৬। সাবস্ক্রিপশন

কীভাবে আপনি আপনার ব্লগ সাইটের জন্য উপরের উল্লেখিত কাজগুলি করতে পারেন? তা সহজ করার জন্য মনিটাইজেশনের পদ্ধতি গুলো ভাল ভাবে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মনিটাইজেশন।

টাকা উপার্জনের জন্য আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য অনেক কম্পানি রয়েছে তাবে আমাদের মতে গুগল এডসেন্স হল সব চেয়ে ভাল একটি মাধ্যম আমরা নিজেরাও গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে থাকি। আপনি আপনার ব্লগ সাইটের কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সহজে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট দিয়ে থাকে। আপনার ব্লগ সাইটের কন্টেন্ট বা পোস্ট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার ব্লগ সাইটের কন্টেন্টের সাথে যে-সব বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেগুলির জন্য আপনি বিজ্ঞাপন দেখানোর সাইটে আবেদন করতে পারেন বা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনার হয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য গুগল এডসেন্সের মতো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি ই জনপ্রিয় ও সহজ। এডসেন্স আপনার ব্লগ সাইটের কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে। এমন কি আপনার অঞ্চল অনুযায়ি উপযোক্ত বিজ্ঞাপন টি প্রদর্শন করে থাকে। বিজ্ঞাপনটি দেখানোর কারণে গুগল আপনাকে সাইটের মালিক হিসেবে পেমেন্ট করে থাকে যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও বিজ্ঞাপন দেখেন বা যোগাযোগ করেন

পড়ুনঃ- ই-কমার্স। নতুন অধ্যায়ের বাংলাদেশ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট বা পন্য অথবা কোন সেবা বিক্রি করে দেয়া, এবং প্রতিটি বিক্রয়-এর বিপরীতে বিক্রয় মূল্যের ওপর শতকরা (%) হারে কমিশন নেয়া। অর্থাৎ আপনি যদি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে করে দেন সে কোম্পানির বিক্রয়ের উপর 2% থেকে 70% পর্যন্ত কমিশন দেবে আর এটাই হল এফিলিয়েট।

অনেক ডোমেইন কম্পানি ও এফিলিয়েট প্রধান করে থাকে, যেমন আমি আপনার মাধ্যামে একটি ডোমেইন রেজিট্রেশন করলাম তাতে করে আপনেকে ডোমেইন কম্পানি একটা কমিশন দিবে, এটা আপনার থেকে বেশি নিবে না বরং প্রকৃত মূল্য থেকে আমাকে কিছু অংশ প্রেমেন্ট করবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সমন্ধে জানতে পড়ুনঃ- এফিলিয়েট মার্কেটিং

ড্রপ শিপিং

সহজভাবে বলতে গেলে, ড্রপ শিপিং এমন একটি পদ্ধতি যা একটি ব্যবসা পন্য স্টক রাখে না। দরুন আমার পন্য টি আপনি স্টক না করে বিক্রয় করছেন আপনি গ্রহকের কাছ থেকে পেমেন্ট নিয়ে কিছু অংশ আপনি রেখে আমাকে কম দামে পেমেন্ট করছেন আর আমি উক্ত পন্য আপনার গ্রাহকের ঠিকানায় ডেলিভারি করছি।

বলতে গেলে কিছু টা এফিলিয়েটের মতই। পার্থক্য হল আপনি এফিলিয়েট করলে পন্যের মূল্য আমি নির্দারণ করে দিচ্ছি আর আপনি কমিশন পাচ্ছেন অপর দিকে ড্রপশিপিং হল আপনি আমার থেকে পন্য কিনে নিজের মত মূলে বিক্রি করছেন।

একটি উদাহরণ দেই, দরুন আপনি আলি এক্সপ্রেস থেকে কোন পন্য নিয়ে মার্কেটিং করলেন। পন্যটীর দাম আলি এক্সপ্রেস এ ১০০ টাকা আর আপনি আমার কাছে সেটি ১৭০ টাকায় বিক্রি করলেন, আমার থেকে টাকা নিয়ে আপনি আলি এক্সপ্রেস থেকে আমার ঠিকায় দিয়ে পন্য টি ক্রয় করলেন। তাহলে কি হবে আলি এক্সপ্রেস আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমার ঠিকানায় পন্য পেরন করবে। আর আপনি মার্কেটিং করে ৭০ টাকা লাভবান হলে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পন্য বিক্রয়

নিজের ব্লগ সাইট থেকে টাকা উপার্জন করার উদ্দেশ্যে অনেক ব্লগার অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে নিজেদের পন্য বা সেবা বিক্রির জন্য একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে থাকেন। প্রোডাক্ট বা পন্য টি হতে পারে ফিজিক্যাল বা ডিজিটাল। যেমন আপনি একটি বই নিয়ে ব্লগ লিখলেন, যাদি পাঠকরা এই বই নিয়ে আগ্রহী হয় তাহলে আপনি তাদের কাছে বই টি বিক্রি করার অপশন রাখতে পারেন।

আপনার পন্য বা সেবা ফিজিক্যাল বা ডিজিটাল অর্থাৎ ভার্চুয়াল যাই হোক না কেন, পেমেন্ট গ্রহণের জন্য আপনাকে আপনার সাইটে পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে। ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার সময় আপনাকে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তা হল- পন্য স্টক স্টোর করা, শিপিং অর্গানাইজ করা, শুল্ক ম্যানেজ করা। ডিজিটাল পন্যে বা সেবায় ঝামেলার জটিলতা কম কারণ সেগুলি অনলাইনে ডেলিভার করা যায়।

আজকাল অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে ভিবিন্ন জামা কাপর অন্য আন্য পন্য বিক্রি করে থাকে। আর তার বাস্তব উদাহণ আপনাদের সামনেই আছে। আপনার ব্লগ খুব জন প্রিয় অনেক ভিজিটর আসে নিয়মিত সাভাবিক কারণেই আপনার ব্লগ সাইটের প্রতি তাদের আস্তা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার থেকে কেনা কাটা করতে আগ্রহ পাবে।

ট্রেনিং বা অইলান ভিবিন্ন কোচিং করানো।

আপনার ব্লগে যাদি ভাল ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারেন। তার জন্য অনলাইন কোর্স বা কোচিং প্যাকেজ সেট-আপ করতে পারেন। তাতে ফি বা চার্জ বসিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।

আপনার আয় বাড়ানোর আর একটি বিকল্প হল লাইভ ভিডিও কোচিং অফার করা এবং আপনি সময় দিচ্ছেন বলে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। যাদি আপনার ভিডিও অন্যের উপকারে আসে, যেমন আপনি চাইলে আপনা ব্লগের মাধ্যমে এসইও (সার্স ইঞ্জিন অফটিমাইজেশন) শিখাতে পারেন বিনিময়ে টাকা চার্জ করবেন। এমন অনেক বিষয় আছে যে গুলো নিয়ে আপনি কন্টেন্ট প্রকাশ করে আয় করতে পারবেন।

সাবস্ক্রিপশন বা মেম্বারশিপ

দরুন আপনার ব্লগ সাইটে অনেক অ্যাক্টিভ ভিজিটর আছে যারা আপনার বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, সেইক্ষেত্রে আপনি আপনার দীর্ঘমেয়াদে উপার্জনের জন্য পেইড মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি চালু করতে পারেন যা আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট ব্যবহারের অন্যতম উপায়। তখন তারা আপনার থেকে মেম্বারশিপ নিতে চাইবে।

এই ধরনের পদ্ধতি তে ভিজিটর নিয়মিতভাবে, মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেমেন্ট করে থাকে। এইভাবে ভিজিটদের কাছ থেকে মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন ফি সংগ্রহ করে আপনি বার বার আয় করতে পারেন। বিনিময়ে, আপনি সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বারদের প্রিমিয়াম কন্টেন্ট, শেখার সংস্থান, ভিডিও বা অতিরিক্ত পরিষেবা অথাবা কোণ টুল সরবরাহ করতে পারেন। আপনার ব্লগের সাথে মানানসই হবে এমন বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু এক্সটা কোন সেবা দিতে পারেন।

অবশ্যই আপনার কন্টেন্টের মান ভাল হতে হবে কেননা আপনি ই অজথা কাউ কে টাকা প্রদান করবেন যদি আপনি না লাভবান হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Sazzat Hj
Sazzat Hjhttps://eracox.com/
আমি সাজ্জাত, অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। কাজ করি এড্রোয়েড এপ্লিকেশন নিয়ে। বর্তমানে শখের বসে ব্লগিং করতে ক্ষুদ্র চেষ্টা। চেষ্টা করি যোগ-উপযোগী ও মানবসভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত নানান বিষয় নিয়ে বিস্ময়কর কন্টেন্ট তৈরি করতে।কন্টেন্টের মূল উদ্দেশ্য আপনাদের যোগ-উপযোগী নানান কিছু জানানো নানান কিছু শেখানো এবং সর্বোপরি সুশীল সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু করার প্রচেষ্টা।

জনপ্রিয় পোস্ট

লেখকের অন্য পোস্ট

error: Content is protected !!