ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জিম্বাবুয়ে
এই অপরূপ সুন্দর ঝরণাটি অবস্থিত জিম্বাবুয়ের বর্ডার ও জিম্বাজি নদীর কোলঘেঁষে। যদিও এই জলপ্রপাতটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কিংবা প্রশস্ত জলপ্রপাত নয় তবু এই উত্তেজনাপূর্ণ জলপ্রপাত ২ কিলোমিটার মাইল প্রায় দখল করে এবং ৩৫৫ ফুট উঁচু অর্থাৎ ১০৮ মিটার। প্রায় ২০ কিলমিটার দূর পর্যন্ত এটি রোমহর্ষক কুয়াশার সৃষ্টি করে যা কিনা ‘গুড়–ম ধোঁয়া’ নামে সেই অঞ্চলে পরিচিত।
একনজরে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
অবস্থান | লিভিংস্টোন, জাম্বিয়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জিম্বাবুয়ে |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৭°৫৫′২৮″ দক্ষিণ ২৫°৫১′২৪″ পূর্ব |
ধরন | জলপ্রপাত |
মোট উচ্চতা | ৩৫৫ ফু (১০৮ মি) (কেন্দ্রস্থলে) |
ঝরার সংখ্যা | ১ |
জলপ্রবাহ | জাম্বেজি নদী |
গড় প্রবাহের হার |
১০৮৮ m³/s (৩৮,৪৩০ cu ft/s) |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Mosi-oa-Tunya / Victoria Falls |
ধরন | প্রাকৃতিক |
মানক | vii, viii |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ১৯৮৯ (১৩শ অধিবেশন) |
রেফারেন্স নং | 509 |
রাষ্ট্রীয় সীমারেখা | জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে |
অঞ্চল | আফ্রিকা |
নামকরন
এই স্থানের পরিদর্শক আগে জিম্বাবুয়ের বেশি হতো, তবে আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার পরিদর্শক এখানে বেড়াতে আসে। ট্রেন কিংবা বাস দিয়েও এই জলপ্রপাত দেখতে যাওয়া যায় এবং অনেক সস্তা।
স্থানীয় চিতোঙ্গা আদিবাসীরা একে মোজি-ওয়া-তুনিয়া নামে ডেকে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে বজ্রের ধোঁয়া। জলপ্রপাতের আওয়াজ অত্যন্ত গর্জনশীল, তাই এরূপ নামকরণ। একজন স্কটিশ অনুসন্ধানকারীর নামের ব্যক্তি নামকরণ করেছেন।
ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী রাণী ভিক্টোরিয়াকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৬ নভেম্বর, ১৮৫৫ তারিখে স্কটিশ মিশনারি ও ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন নিজ নামে পরিচিত লিভিংস্টোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে জলপ্রপাতটি দেখে এর নামকরণ করেন।
২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ জলপ্রপাতের পুণরায় নামকরণ করেছে মোজি-ওয়া-তুনিয়া।