Home লাইফ স্টাইল খাবার ও রেসিপি পাট শাক – পাট শাকের উপকারিতা ও তার পুষ্টিগুণ, চলুন জেনে নেই।

পাট শাক – পাট শাকের উপকারিতা ও তার পুষ্টিগুণ, চলুন জেনে নেই।

0

পাট শাক পুষ্টিগুণে ভরা যা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। যেমন, আমার-ই খুব প্রিয়। পাটশাক খেতে যেমন সুস্বাদু আর তেমনই সহজলভ্য। সাধারণত পাটশাক ভেজে নিয়ে গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয়। এটি শাক হিসেবে শুধু মুখরোচকই নয় পাটের পাতায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।

পাট শাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন সি, ই, কে, বি- ৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাটশাকে ক্যালরি থাকে ৭৩। এতে আমিষ থাকে ৩.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম, লোহা ১১ মিলিগ্রাম ও ক্যারোটিন ৬৪০০ (আইইউ)। তাছাড়া পাট শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন এবং খাদ্যআঁশ। এসব পুষ্টি উপাদান রোগবালাই থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে।

সম্মানিত পাঠক জেনে নিন এবার পাট শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

মুখের রুচি বাড়ায়

তেতো স্বাদের পাটশাক খাওয়ার রুচি বাড়ায়। মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। পাটশাকের তেতো স্বাদ মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ফলে খাবারের রুচি বাড়ে।

নিদ্রাহীনতা দূর করে

পাটশাকে থাকা ম্যাগনেশিয়াম উপাদান শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করে যা স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে এবং নিরবচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করে। তাই ভাল ঘুমের জন্য পাট শাক খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পাট শাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ পতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন-সি রক্তের শ্বেত কনিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন ই চোখ, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হাড়ের বৃদ্ধি সাধন করে

পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাছাড়া এতে থাকা আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান হাড় গঠন ও ক্ষয়পূরণ করে এবং হাড়ভঙ্গুরতা রোধ করে।

উচ্চ রক্তচাপ দূর করে

পাটশাকে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম রক্তসঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া পাটশাক রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং ষ্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

আয়রণের ভাল উৎস

পাটশাকে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। পাটশাকে থাকা আয়রন দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি করে।

হজম শক্তি বড়ায়

পাটশাকে থাকা খাদ্যআঁশ হজম প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ত্বরান্বিত করে আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

বাতের ব্যথা দূর করে

আপনি জানলে অবাক হবে যে পাট শাক বাতের ব্যথায় বেশ উপকারী। পাট শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। ভিটামিন-ই গেঁটেবাত, আর্থরাইটস এবং প্রদাহ জনিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই সকল রোগের জন্য পাট শাক একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ্য।

পরিশেষে বলব এরকম আরও পোস্ট পেতে আমাদের পাশেই থাকে চোখ রাখুন আমাদের ফেইসবুক পেইজ এবং ফেইসবুক গ্রুপে। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

error: Content is protected !!
Exit mobile version