Sunday, 13-July, 2025
Home Blog

Privacy Policy of BPFA – Bancharampur Police Family

0

This privacy policy applies to the Bancharampur Police Family app (hereby referred to as “Application”) for mobile devices that were created by Sazzat Hj (hereby referred to as “Service Provider”) as a Free service. This service is intended for use “AS IS”.

Information Collection and Use
The Application collects information when you download and use it. This information may include information such as

Your device’s Internet Protocol address (e.g. IP address)
The pages of the Application that you visit, the time and date of your visit, the time spent on those pages
The time spent on the Application
The operating system you use on your mobile device

The Application does not gather precise information about the location of your mobile device.

The Service Provider may use the information you provided to contact you from time to time to provide you with important information, required notices, and marketing promotions.

For a better experience, while using the Application, the Service Provider may require you to provide us with certain personally identifiable information. The information that the Service Provider requests will be retained by them and used as described in this privacy policy.

Third-Party Access
Only aggregated, anonymized data is periodically transmitted to external services to aid the Service Provider in improving the Application and their service. The Service Provider may share your information with third parties in the ways that are described in this privacy statement.

Please note that the Application utilizes third-party services that have their own Privacy Policy about handling data. Below are the links to the Privacy Policy of the third-party service providers used by the Application:

Google Play Services
AdMob
One Signal

The Service Provider may disclose user-provided and Automatically Collected Information:

as required by law, such as to comply with a subpoena or similar legal process;
when they believe in good faith that disclosure is necessary to protect their rights, protect their safety or the safety of others, investigate fraud, or respond to a government request;
with their trusted service providers who work on their behalf, do not have an independent use of the information we disclose to them, and have agreed to adhere to the rules set forth in this privacy statement.

Opt-Out Rights
You can stop all collection of information by the Application easily by uninstalling it. You may use the standard uninstall processes as may be available as part of your mobile device or via the mobile application marketplace or network.

Data Retention Policy
The Service Provider will retain User Provided data for as long as you use the Application and for a reasonable time after that. If you’d like them to delete the data you have provided via the Application, please contact them at [email protected] and they will respond in a reasonable time.

Children
The Service Provider does not use the Application to knowingly solicit data from or market to children under the age of 13.

The Application does not address anyone under the age of 13. The Service Provider does not knowingly collect personally identifiable information from children under 13 years of age. In the case the Service Provider discovers that a child under 13 has provided personal information, the Service Provider will immediately delete this from their servers. If you are a parent or guardian and you are aware that your child has provided us with personal information, please contact the Service Provider ([email protected]) so that they will be able to take the necessary actions.

Security
The Service Provider is concerned about safeguarding the confidentiality of your information. The Service Provider provides physical, electronic, and procedural safeguards to protect information the Service Provider processes and maintains.

Changes
This Privacy Policy may be updated from time to time for any reason. The Service Provider will notify you of any changes to the Privacy Policy by updating this page with the new Privacy Policy. You are advised to consult this Privacy Policy regularly for any changes, as continued use is deemed approval of all changes.

This privacy policy is effective as of 2024-06-29

Your Consent
By using the Application, you are consenting to the processing of your information as outlined in this Privacy Policy now and as amended by us.

Contact Us
If you have any questions regarding privacy while using the Application, or have questions about the practices, please contact the Service Provider via email at [email protected].

পানি দূষণ কি এবং পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায়।

0

পানিই জীবন। পৃথিবী নামক গ্রহে পানির প্রাচুর্যতাই জীবনের অস্তিত্বকে বাস্তবে রূপদান করেছে এবং প্রাণের সমুজ্জল উপস্থিতি তারই বহিঃপ্রকাশ। এ গ্রহের প্রায় ৭১ ভাগ পানি যার বেশির ভাগই লবণাক্ত। একদিকে বিশ্বব্যাপী অল্প পরিমাণ সুপেয় এবং সহজলভ্য পানি, অন্যদিকে এ সীমিত পানির দূষণ মানবকুলকে অস্তিত্বহীনতার মুখোমুখি করে তুলতে পারে। তাই পানি দূষণ মানবসভ্যতার জন্য এক অভিশাপে পরিণত হচ্ছে।

→ পানি দূষণ : 

পানির সাথে কোনো অবাঞ্চিত পদার্থ মিশে যাওয়ার ফলে যদি পানির ভৌত রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় এবং তার ফলে জলজ উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তবে পানির সেই খারাপ অবস্থাকে পানি দূষণ বলে । অন্যভাবে বলা যায়, পানি দূষণ হলো পানির প্রকৃত গুণাগুণ নষ্ট করে তাকে অন্যান্য প্রাণী ও জীবের জন্য ক্ষতিকারক বস্তুতে পরিণত করে। পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ও ভৌত গুণাগুণ থাকে। বিভিন্ন কারণে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থিত পানির এ গুণাগুণকে পরিবর্তন করে প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক অবস্থার সৃষ্টি হওয়া কিংবা কিছু নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহারের জন্য পানির অপরিমিত ও অসহনীয় অবস্থার ফলই পানি দূষণ সুতরাং পানি দূষণ হলো পানির রাসায়নিক, জৈবিক অথবা ভৌত গুণাগুণ পরিবর্তন যা সজীব বস্তুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং ফলশ্রুতিতে পানিকে আকাঙ্ক্ষিত এবং ব্যবহারযোগ্য কার্য থেকে একটি অব্যবহারযোগ্য এবং ক্ষতিকারক পদার্থে পরিণত করে।

→ পানি দূষণের সহায়ক শর্তাবলি : 

পানি দূষণ এবং এর মাত্রাগত পরিবর্তনের জন্য কিছু শর্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন- 

(i) দূষকের প্রকৃতি এবং ঘনত্ব কিংবা পরিমাণ বেশি হলে পানি বেশি দূষিত হয়।

(ii) পানি স্থিরাবস্থায় থাকলে দূষিত হতে পারে কিংবা দূষণের মাত্রা বাড়তে পারে।

(iii) পানির পরিমাণ কম হলে দূষিত কিংবা বেশি দূষিত হতে পারে। বিপরীতভাবেও সত্য।

(iv) এছাড়া আরও কিছু শর্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

(ক) পানির তাপমাত্রা ।

(খ) দূষকের অর্ধক্ষেপণ মাত্রা ।

(গ) পানির গভীরতা ইত্যাদি।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, পানি দূষণ হলো পানির সেই অবস্থা যা প্রাণীকুল এবং উদ্ভিদকুল উভয়ের জন্যই ক্ষতিকারক। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে পানি দূষিত হয়। যা পরিবেশ ও জীব জগৎ উভয়ের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই আমাদের যেকোনোভাবেই হোক এই দূষণ রোধ করতে হবে।

পানি দূষণের কারণসমূহ :

জীবের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টিকারী পানির যেকোনো ভৌত রাসায়নিক বা জৈবনিক পরিবর্তনকে পানি দূষণ বলে। সাধারণত মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মকাণ্ডের ফলে পানির বিভিন্ন উপাদানের বা গুণাগুণের পরিবর্তনকে পানি দূষণ বলা হয়। অথবা, পানিতে বিভিন্ন দূষক পদার্থ মিশে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হলে তাকে পানি দূষণ বলে ।

পানি দূষণের কারণ :

(i) শিল্পের আবর্জনা : 

বিভিন্ন প্রকার শিল্প যেমন— প্লাস্টিক, চামড়া, চিনি, কাগজ, ঔষধ, ডায়িং প্রভৃতি থেকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন বর্জ্য নিঃসৃত হয় যা পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে।

(ii) নর্দমার আবর্জনা : 

মানুষের গৃহস্থালি ও পয়ঃপ্রণালি নিষ্কাশনে ব্যবহৃত পানি বর্জ্য হিসেবে বিভিন্ন নদীনালা-খালবিলের পানিকে দূষিত করে।

(iii) রাসায়নিক দ্রব্য : 

কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশক, ছত্রাকনাশক ও আগাছানাশক দ্রব্য পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করছে। 

(iv) বিভিন্ন এসিড :

বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত এসিডগুলো শিল্প বর্জ্যের সাথে পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করছে।

(v) ভারি ধাতু : 

বিভিন্ন শিল্প কারখানায়, কৃষিক্ষেত্রে, গৃহস্থালি কাজে বিভিন্ন ধরনের ভারি ধাতু যেমন : আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, দস্তা, মারকারী, জিঙ্ক, কপার, আয়রন ইত্যাদি পানিতে মিশে পানি দূষিত করে।

পানি  দূষণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি 

পানি দূষণ প্রতিকার বা নিয়ন্ত্রণের উপায় : 

পানি দূষণ রোধ বা প্রতিকারে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে- 

১. বিভিন্ন স্থানের বর্জ্য পদার্থ নদী ও খাল-বিলে পতিত হওয়ার পূর্বেই শোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

২. নদীর পানি প্রবাহ যেন ঠিক থাকে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনে নদী ড্রেজিং করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. মৃত জীবদেহ যেন পানিতে পড়ে না পর্চে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

৪. শিল্প কলকারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক দূষক পদার্থ পরিশোধনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ । 

৫. কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো বা বন্ধ করা উচিৎ।

৬. তেলবাহী জাহাজ ও ট্যাঙ্কার হতে যেন তেল ও অন্যান্য দূষক পদার্থ নদী ও সমুদ্রের পানিতে যেন না মিশে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

৭. পলিথিন ও পাস্টিক দ্রব্য যেখানে সেখানে না ফেলে পুতে ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত।

৮. পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবহার সীমিত রাখা উচিত।

৯. সর্বোপরি পানি দূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন ।

 

জনসংখ্যা সমস্যা কি? বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনের উপায়। 

0

যে কোন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সে দেশের জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে। দেশের সম্পদ ও সুযোগ সুবিধার চেয়ে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার বেশি হলে জনসংখ্যাস্ফীতি দেখা দেয়। বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা দেশের অন্যতম সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় জনসংখ্যাকে এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদেশের জনসংখ্যা সমস্যা এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

জনসংখ্যা সমস্যার সংজ্ঞা : জনসংখ্যা সমস্যা কি?

সহজ কথায় আমরা বলতে পারি, কোন দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যা যদি সে দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করে, তাহলে তাকে জনসংখ্যা সমস্যা বলে। অন্যভাবে আমরা বলতে পারি, জন্যসংখ্যা সমস্যা হলো জনসংখ্যাজনিত এমন একটি অবস্থা, যে অবস্থায় কোন দেশের জনসংখ্যা সে দেশের সম্পদের সাথে সংগতি বিধান করতে পারে না।

জনসংখ্যা সমস্যার সংজ্ঞায় অর্থনীতিবিদ ম্যালথাস বলেন, কোন দেশের জনসংখ্যা সেদেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের পরিমাপের চেয়ে বেশি হলে তাকে জনসংখ্যা সমস্যা বলে। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ বলেন, কোন দেশের প্রাপ্ত সম্পদ ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে জনসংখ্যা থাকলে মাথাপিছু আয় বেশি হয় তাই বাঞ্চিত জনসংখ্যা। বাঞ্চিত জনসংখ্যা থেকে কোন দেশের জনসংখ্যা বেশি হলে জনসংখ্যা সমস্যার সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনের উপায় :

এদেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনের উপায় হিসাবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে :

প্রাকৃতিক সম্পদ : 

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও সম্ভাব্য সম্পদের প্রতি লক্ষ্য রেখে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

পরিবার পরিকল্পনা : 

বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার কার্যকর ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণকে এ ব্যাপারে উপদেশ ও উৎসাহিত করতে হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন : 

বাংলাদেশের জনশক্তিকে অর্থনৈতিক কাজে লাগিয়ে দেশের আয় বৃদ্ধি করার জন্য দ্রুত চেষ্টা করতে হবে। আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান। দেশে কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশে দ্রব্য সামগ্রীর উৎপাদন বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাতীয় আয়ের পুনর্গঠন :

বাংলাদেশের আয় যাতে সকলে ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মাধ্যমে দেশের সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে পারে।

জনসংখ্যার পুনর্বণ্টন : 

বাংলাদেশের যেসব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ সে সকল এলাকা থেকে জনসংখ্যা পুনর্বণ্টিত করতে হবে জমির উপর জনসংখ্যার চাপ কমিয়ে দেশে শহরায়ন ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।

কৃষি ও শিল্পের উন্নতি : 

বাংলাদেশে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়ানো যাবে। এতে করে দেশ শুধু খাদ্য ঘাটতিই পূরণ হবে না উদ্বৃত্ত শস্য বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর আয় করা সম্ভব হবে। 

কৃষি বহির্ভূত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা : 

কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং শিল্প সহায়ক আর্থিক সহায়তা দিয়ে শিল্পের সম্প্রসারণ করতে হবে। সেই সাথে কৃষি বহির্ভূত আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ব্যাপক প্রচার : জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি যে আমাদের দেশের জন্য কত বড় ক্ষতিকর এবং বর্ধিত জনসংখ্যা আমাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ইত্যাদি প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার অব্যাহত রাখা দরকার।

নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা দান : 

নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা দান করা হলে এদেশের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান হবে। এদেশে পুরুষদেরকে অধিক দাম দেয়া হয় ফলে কন্যা সন্তান হলে তারা পুত্র সন্তানের আশায় বারবার সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে।

জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণ সহজলভ্যকরণ :

জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপকরণ জনগণের নিকট সহজলভ্য করে তুলতে হবে এবং আরো উন্নতমানের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আবিষ্কার করা দরকার।

নারী শিক্ষার বিস্তার ও মহিলাদের কর্মসংস্থান :

মেয়েদের শিক্ষিত এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তাদের সামাজিক চেতনা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে সহায়ক হবে।

বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহরোধ : 

বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ সম্বন্ধে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সাধন করতে হবে। এ সম্পর্কিত মুসলিম পারিবারিক আইনকে কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্যও অনুরূপ আইন করে বহুবিবাহ রোধ এবং বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছেলেদের ২৫ বছর এবং মেয়েদের জন্য ২২ বছর করতে হবে।

বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তা বিধান : 

বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করা যায়। কারণ জনগণ মনে করে অধিক সন্তান জন্ম দিলে তারা বৃদ্ধ বয়সে উপার্জন করে খাওয়াবে। এ আশায় তারা সন্তান জন্ম দেয়। তাই বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তা বিধান করে জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করা যায়।

জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন : 

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সারা দেশের জনসংখ্যাকে গবেষণায় মাধ্যমে জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

পরিশেষে আমরা বলতে, উপরিউক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ও দেশের জনগণকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

পরিবেশ কি? পরিবেশ দূষণের কারণ ও প্রতিকার ।

0
পরিবেশ কি পরিবেশ দূষণের কারণ ও প্রতিকার
পরিবেশ কি পরিবেশ দূষণের কারণ ও প্রতিকার

পরিবেশ দূষণ কি? পরিবেশ দূষণের সংজ্ঞা দাও।

সাধারণত পরিবেশ দূষণ বলতে আমরা মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পরিবেশের অবক্ষয় সাধনকে বুঝিয়ে থাকি। অর্থাৎ পরিবেশ দূষণ বলতে সম্পূর্ণভাবে মানুষের কার্যাবলির মাধ্যম স্থানীয় পরিসীমায় সংঘটিত পরিবেশের অবক্ষয়কে বুঝানো হয়ে থাকে। ব্যাপক অর্থে পরিবেশ দূষণ হলো মানুষের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ও কার্যাবলির দ্বারা পরিবেশের গুণগত মানের হ্রাস।

পরিবেশ দূষণের কারণগুলো কি কি?

বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত সমস্যাটি একটি মারাত্মক সমস্যা। একটু লক্ষ করলেই আমরা দেখতে পাই নিজেদের অবহেলার কারণেই প্রতিদিন আমরা চারপাশে তৈরি করছি বিষাক্ত পরিমণ্ডল এবং নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছি এক নিঃশব্দ বিষক্রিয়ার মধ্যে। কাজেই পরিবেশ দূষণের নিয়ামকগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে তা নির্মূল করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

পরিবেশ দূষণের প্রধান কারন সমূহ :

বিষাক্ত বাতাস :

দেশের জনসংখ্যা যেভাবে দিন দিন বেড়ে মহে ঠিক তেমনিভাবে বাড়তি লোকের চাহিদা মেটানোর জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহন এবং তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কলকারখানা।। এসব গাড়ি ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বাতাসকে করে। হে বিষাক্ত যা পরিবেশকে দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পলিথিন :

আশির দশকের গোড়ার দিকে এই বিপদজনক গুহাটি প্রথম এদেশে যাত্রা শুরু করে। বর্জ্য হিসেবে পলিথিন এ সভ্যতার এক ভয়াবহ শত্রু। বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সাবধান বদী থাকা সত্ত্বেও পলিথিন সামগ্রিক ব্যবহার এদেশে বেড়েছে আশস্কাজনকভাবে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ।

প্লাস্টিক সামগ্রী :

এদেশে পলিথিনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্লাস্টিক সামগ্রিক ব্যবহার। প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্যে বাজার এখন সয়লাব। মাটির জন্য এ প্লাস্টিক মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি মাটির জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে।

বন উজার:

যেকোনো দেশেরই পরিবেশের স্বাভাবিক অবসম্য রক্ষা করার জন্য মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশেরও কম। বনভূমির উজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ।

পানিতে আর্সেনিক : 

দেশের অনেক অঞ্চলেই খাবার পানিতে আর্সেনিকের মতো মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ তথ্যটি যেকোনো নাগরিকের জন্য উদ্বেগজনক বিষয়।

শব্দ দূষণ :

শব্দ দূষণ বর্তমান সময়ে একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা এখন বাস করছি হাইড্রোলিক হর্ন নামে কে ভয়ঙ্কর শত্রুর সঙ্গে। যার উৎকট আওয়াজ একটু একটু করে চাপ বাড়াচ্ছে আমাদের কানের পর্দার উপর এবং ক্ষয় করে দিচ্ছে আমাদের শ্রবণ ক্ষমতাকে।

পানি দূষণ : 

দেশে পানি দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছে। ক্ষতিকর শিল্পবর্জ্যের কারণে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, রূপসা প্রভৃতি নদীর পানি ইতিমধ্যেই মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এসব নদীর পানি সব ধরনের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

অবশেষে :

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে আমাদের এই হূর্ত থেকে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে। তা না হলে অচিরেই আমাদের জীবন ও পরিবেশ উভয়ই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

পরিবেশ দূষণরোধ বা প্রতিকারে করণীয়গুলো।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যাগুলোর | একটি হলো পরিবেশ দূষণ। এ ভয়াবহ রকমের পরিবেশ দূষণের। ফলে আজ আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তাই অতিদ্রুত সময়ে পরিবেশ দূষণের প্রধান নিয়ামকগুলোকে চিহ্নিত করে তা রোধের ব্যবস্থা করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জীবন ও পরিবেশ উভয়কেই মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে।

পরিবেশ দূষণরোধে করণীয় :

 জীবন ও পরিবেশকে এখনি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

বনায়ন :

পরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ও দূষণ বন্ধ করতে হলে বনায়নের উপর প্রথম গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। গাছপালা কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ এবং অক্সিজেন নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশকে নির্মল ও সুন্দর রাখে। তাই পরিবেশ দূষণ রোধের জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

শব্দ দূষণ রোধ :

হাইড্রোলিক হর্ণ এবং যততত্র মাইক বাজানোর বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শব্দ দূষণের কবল থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে হয়। হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এরশাদ সরকারের আমলে আইন প্রণয়ন করা হলেও বর্তমানে তা কাগজে বাঘ হয়ে খাচ্ছে। সুতরাং বর্তমান সরকারের উচিত জাতীয় স্বার্থে শব্দ দূষণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

পলিথিন বর্জন :

পলিথিনের ব্যবহার পরিহার করা পরিবেশ | রক্ষার স্বার্থে দেশের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। নব্বই সালের গোড়ার দিকে দেশে দেশে পলিথিন উৎপাদন বন্ধের ব্যাপারে তৎকালীন সরকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু রাজনৈতিক জটিলতা এবং ভোট নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সিদ্ধান্তটির মৃত্যু ঘটে।

পানি দূষণ রোধ :

পরিবেশ সমস্যার সমাধান তথা জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পানি দূষণ সমস্যার সমাধান অতীব জরুরি। পানি দূষণ রোধ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজন নদীর আশপাশে গড়ে উঠা শিল্পকারখানা অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার ব্যবহার : 

রাসায়নিক সারের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশের উপর যে প্রভাব পড়ছে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। | প্রাকৃতিক সার একদিকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে অন্যদিকে তা পরিবেশের জন্যও ভালো।

সচেতনতা বৃদ্ধি : 

পরিবেশ বিপর্যয়ের সমস্যা সামগ্রিকভাবে একটি দেশের জাতীয় সমস্যা। কাজেই এ সমস্যা থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বিশেষ আইন। যথেষ্ট নয়। এজন্য দরকার দেশের সমগ্র জনগণের চেতনাবোধ। দেশের জনগণ যদি পরিবেশ দূষণের নিয়ামকগুলো সম্পর্কে | সচেতন হয় তা হলে পরিবেশ দূষণের কবল থেকে আমরা অতি সহজেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারি।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি, পরিবেশ দূষণের মতো নিঃশব্দ শত্রুর হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে হলে আমাদের এখনই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাই বর্তমান সরকারের উচিত রাজনৈতিক দক্ষতা সকলের ম্যান্ডেট ও সমন্বিত প্রশাসনিক পদক্ষেপকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ দূষণের মরণ ছোবল থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর স্বদেশ ভূমি নিশ্চিত করা।

ব্লগিং এর জন্য সেরা এবং অল ইন ওয়ান থীম – নিউজপেপার থীম (Best Bloging theme – Newspaper Theme)

0
person using laptop computer during daytime
Photo by picjumbo.com on Pexels.com

আজ আমরা আলোচনা করব একটি জনপ্রিয় ব্লগিং থীম নিয়ে যার নাম নিউজপেপার থীম (Newspaper Theme)। আমরা আমাদের এই ব্লগ সাইটে ও আমরা নিউজপেপার থীম ব্যাবহার করেছি।

থীমটি বেশ সহজ কাস্টমাইজ করা।

নিউজপেপার থীম এর সুবিধা সমূহঃ

  • অল ইন ওয়ান
  • ১৫০+ প্রিবিল্ড ওয়েব সাইট
  • নিজস্ব পেইজ বিল্ডার
  • প্রিমিয়াম টেমপ্লেট
  • WooCommerce
  • মোবাইল বিউ
  • ফ্লেক্সিবল
  • ইন-বিল্ড নিউজ লেটার প্লাগিন
  • ইন-বিল্ড সোসাইল প্লাগিন
  • Design and Redesign with tagDiv Cloud Library

ওয়েব ব্রাউজার কী? কেন ? ওয়েব ব্রাউজার কিভাবে কাজ করে এবং ইতিহাস।

0
ওয়েব ব্রাউজার কি এবং কত প্রকার
ওয়েব ব্রাউজার কি এবং কত প্রকার

ওয়েব ব্রাউজার কি (What Is Web Browser)

সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, ওয়েব ব্রাউজিং করার জন্য যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটিই ওয়েব ব্রাউজার।

ওয়েব ব্রাউজার মূলত একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যা সাধারণত ডিভাইসে ইনস্টল থাকে। যখন উক্ত ডিভাইসটি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হয়, তখন-ই কেবল ওয়েব ব্রাউজারটি কাজ করে।

ইন্টারনেট এবং ওয়েব ব্রাউজার একটি অপরটির সাথে সম্পর্কিত। কেননা ইন্টারনেট ছাড়া আমরা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারি না তথাপি ওয়েব ব্রাউজার ছাড়া ইন্টারনেট ও আমাদের তেমন কাজে আসে না।

ইন্টারনেটের জগতে, এই ওয়েব ব্রাউজারটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি দরজার মতো কাজ করে, যা আমাদের ইন্টারনেট সেই জগতে নিয়ে যায়। ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে, আমরা ইন্টারনেটে উপস্থিত অনেক ওয়েব পৃষ্ঠা দেখতে পারি এবং এটি তাদের ফাইল-ফুটেজ, অডিও-ভিডিও, ছবি-চিত্র এবং ডকুমেন্টে এর  মতো বিষয়বস্তু ডিভাইসের স্ক্রিনে দেখায়।

আমরা যেখান থেকে তথ্য পেতে চাই সেই ব্রাউজারের ঠিকানা বারে আমাদের কেবল সেই ওয়েবপৃষ্ঠাটির url লিখতে হবে, তারপর ব্রাউজারটি আমাদের স্ক্রিনে সেই ওয়েবপৃষ্ঠাটি দেখায়।

ব্রাউজার কম্পিউটারের এই ভাষা অনুবাদ করে যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সহজেই বিষয়বস্তু পড়তে পারে। কিছু ওয়েব ব্রাউজার শুধুমাত্র পাঠ্য অনুবাদ করতে সক্ষম এবং কিছু ব্রাউজার গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন সমর্থন করে এবং সেগুলি অনুবাদ করতে সক্ষম।

সহজ ভাষায় ওয়েব ব্রাউজার কাকে বলে ?

সোজা ভাবে বললে, ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি কম্পিউটার এপ্লিকেশন যেটাকে ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট ব্যবহারের উদ্দেশ্যে।

যখন আমরা ব্রাউজারে যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address দিয়ে সার্চ করি, তখন-ই, ব্রাউজার সেই ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত ওয়েব সার্ভার এর সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। এবং, ওয়েব সার্ভারে থাকা ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি কনটেন্ট, ছবি, অডিও, ভিডিও, মাল্টিমিডিয়া, ডিজাইন, ইমেজ, স্টাইলিং কোড, স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি গুলোকে কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে প্রদর্শন করে। আর, এই গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার এপ্লিকেশনটি হলো “ব্রাউজার”।

ওয়েব ব্রাউজারের ইতিহাস(History Of Web Browser)

ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকেই কম্পিউটারে ব্রাউজার রয়েছে। প্রথম ব্রাউজারটির নাম ছিল ‘world wide web‘ যা টিম বার্নার্স-লি ১৯৯০ সালে তৈরি করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে অনেক বড় ব্রাউজার তৈরি করা হয় যাতে বুকমার্কিং, হিস্ট্রি, অডিও -ভিডিও সাপোর্ট ইত্যাদি ফিচার যুক্ত করা হয়।

আজকের দিনে অনেক ব্রাউজার এর মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যে, কোন ব্রাউজারটি সেরা, কোনটি সারা বিশ্বে ব্যবহারকারী বাড়াতে চায়। ১৯৯০-এর দশকে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ছিল, যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী ‘নেটস্কেপ’ ওয়েব ব্রাউজারকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করেছিল।

নতুন শতাব্দীতে, কিছু নতুন ব্রাউজার যেমন মজিলা ফায়ারফক্স, ক্রোম, সাফারি, অপেরা ইত্যাদি। মানুষের ডিভাইসে তার জায়গা তৈরি করতে শুরু করে। এই সব ব্রাউজারে ছোটখাটো পার্থক্য আছে কিন্তু সবগুলোর কাজ হল ইন্টারনেট সার্ফিং করা। আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার এবং মোবাইলেও একাধিক ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন।

আজকে যেই ওয়েব ব্রাউজারের ব্যবহার করে ইন্টারনেটের জগতে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিসিট করছি, সেই ব্রাউজার এর কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস অবশই রয়েছে।

  • 1990 – এই সালে প্রথম ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করা হয়েছিল W3C director, “Tim Berners-Lee” দ্বারা। পরে, সেই প্রথম web browser এর নাম পাল্টে Nexus করে দেওয়া হলো। তখনকার সময়ের এটাই একমাত্র ব্রাউজার ছিল যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট এক্সেস করা হত।
  • 1992 – এই সালে Lynx নামের একটি text-based browser তৈরি করা হয়েছিল, যেটা graphics content দেখাতে পারতোনা। ব্রাউজারটি এখনো রয়েছে এবং সব থেকে পুরোনো ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে একে বলা হয়।
  • 1993 – Mosaic নামের নতুন browser তৈরি করা হলো যেখানে text এর সাথে images display হয়ে থাকতো। এটাকে প্রথম গ্রাফিকাল ওয়েব ব্রাউজার বলা হতো। তাই, এই ইন্টারনেট ব্রাউজার অনেক পপুলার ছিল।
  • 1995 – Internet explorer নামের প্রথম ব্রাউজার আসলো যার ণির্মাতা হল Microsoft
  • 1996 – অনেক জনপ্রিয় ব্রাউজার opera একটি research project হিসেবে ১৯৯৪ সালে শুরু হয়েছিল। প্রায় ২ বছর পর সাধারণ লোকেদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপলব্ধ করা হলো।
  • 2003 –  Apple দ্বারা নিয়ে আসা হলো Safari browse যেটা সেই সময় কেবল Macintosh computers গুলোর জন্য ছিল।
  • 2004 – উক্ত বছরে বর্তমানের জনপ্রিয় ব্রাউজার Mozilla Firefox ব্রাউজার।.
  • 2007 – Apple নিয়ে আসে Mobile Safari নামের তাদের mobile web ব্রাউজার।.
  • 2008 – Google এর chrome browser এই ব্রাউজার মার্কেটে শামিল হলো এবং অনেক তাড়াতাড়ি অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ালো।
  • 2015 – Microsoft এর উন্নত এবং আধুনিক browser আসলো “Microsoft Edge” নামে।

বর্তমানে প্রত্যেকটি web browser অনেক fast, advanced এবং attractive.

যখনি আমরা ব্রাউজার ওপেন করে সেখানে কোনো ওয়েবসাইট এর URL address / domain দিয়ে থাকি, তখন, ব্রাউজার সেই URL address এর সাথে সংযুক্ত web server এর থেকে তথ্য বা information গুলোকে web browser এ প্রদর্শন করা হয়। সোজা সোজা কথায় browser এর অনুরোধ শিকার করে web server তাকে information সংগ্রহ করার অনুমতি দেয়। এবং, সার্ভার থেকে সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি কনটেন্ট, ব্রাউজার আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে ডিসপ্লে করে।

মনে রাখবেন,

  • Web server হলো সেই server বা computer যেখানে যেকোনো ওয়েবসাইটের file এবং অন্যান্য content গুলো থাকে।
  • প্রত্যেকটি web server এর জন্য  একটি করে  unique IP address রয়েছে যার মাধ্যমে সেই server এর file / content গুলোকে access করা হয়।
  • প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের Domain / URL address, সেই ওয়েবসাইটের web server এর আইপি এড্রেস (IP address) এর সাথে সংযুক্ত থাকে।
  • ফলে, domain / URL address এর মাধ্যমে সেই ওয়েবসাইটের file / content গুলো access করা যায়।

ওয়েব ব্রাউজারের তালিকা (List Of Web Browser)

ওয়েব ব্রাউজার হলো ওয়েব বা ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করা, উপস্থাপন করা, সংরক্ষণ করা এবং পক্রিয়াজাত করার একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। বর্তমানে আপনি Online এ অনেক ধরনের ওয়েব ব্রাউজারের ছড়াছড়ি এর মধ্যে আমরা কিছু জনপ্রিয় ব্রাউজার কম্পিউটারে এবং কিছু মোবাইল ও ট্যাবলেটে ব্যবহার করে থাকি। এখানে একটি ওয়েব ব্রাউজার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

 কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser) হলো–

  1. গুগল ক্রোম Google Chrome (পিসি, মোবাইল এবং ট্যাবলেট)
  2. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার Internet Explorer (পিসি)
  3. মাইক্রোসফট এজ Microsoft Edge (পিসি, মোবাইল এবং ট্যাবলেট)
  4. মজিলা ফায়ারফক্স Mozilla Firefox (পিসি, মোবাইল এবং ট্যাবলেট)
  5. সাফারি – Safari (পিসি, মোবাইল এবং ট্যাবলেট)
  6. অপেরা – Opera (পিসি, মোবাইল এবং ট্যাবলেট)
  7. কনকরার (লিনাক্স পিসি)
  8. লিনাক্স (লিনাক্স পিসি)
  9. UC ব্রাউজার (মোবাইল এবং ট্যাবলেট)

কি ভাবে ওয়েব ব্রাউজার কাজ করে? How to Work Web Browsers?

Web Browser হলো এমন একটি software application যার কাজ হলো WWW (world wide web) এর মধ্যে থাকা সকল কনটেন্ট যেমন ভিডিও, অডিও, ছবি, টেক্সট, ফাইল ইত্যাদি গুলোকে খোজে সংগ্রহ করে ইউসারের মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রদর্শন করা।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল ইন্টারনেট সার্ভারগুলির একটি সিস্টেম যা ফর্ম্যাট করা নথিগুলিকে সমর্থন করে। ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে, আমরা সহজেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারি। 

HTTP (HyperText Transfer Protocol) ওয়েব সার্ভারগুলিকে বলে যে কীভাবে একটি ওয়েব পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু বিন্যাস এবং প্রেরণ করতে হয় এবং তা ব্যবহারকারীদের দ্বারা প্রদত্ত কমান্ডের প্রতিক্রিয়া জানাতে ওয়েব সার্ভার এবং ওয়েব ব্রাউজার উভয়কেই কী করতে হবে৷

Http এর সাহায্যে, ওয়েব ক্লায়েন্ট এবং ওয়েব সার্ভার একে অপরের সাথে সংযোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়। যখন ব্যবহারকারী ব্রাউজারের ঠিকানা বারে একটি ওয়েব ঠিকানা প্রবেশ করে, তখন ব্রাউজারটি http কমান্ডের আকারে ওয়েব সার্ভারে তার অনুরোধ পাঠায়, তারপর ব্রাউজারটি সেই ওয়েব সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং ব্যবহারকারীর অনুরোধ করা ওয়েব পৃষ্ঠাটি সরিয়ে দেয়। ব্রাউজারে সব তথ্য দেখায়।

ইন্টারনেটের সমস্ত ওয়েব সার্ভার যেগুলি ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পেজ রাখে, সেই সমস্ত সার্ভারগুলি HTTP প্রোটোকল সমর্থন করে, তবেই ব্রাউজারগুলি তাদের সাথে সংযোগ করতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য সহজেই দিতে পারে।

প্রথম ওয়েব ব্রাউজারের নাম

Tim Berners-Lee ছিলেন একজন কম্পিউটার সাইন্টিস্ট যার হাত ধরে “World Wide Web” নামের প্রথমটি ওয়েব ব্রাউজার টি তৈরি হয় ১৯৯০ সালে। পরবর্তিতে ব্রাউজারটির নাম পরিবর্তন করে Nexus করা হয়েছিল। তবে, ১৯৯৪ সালে এই ব্রাউজার একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

  • গুগল ক্রোম ব্রাউজারের কিছু টিপস এবং ট্রিকস 

বিদায় লগ্নের কথা,

পরিশেষে, আমরা জেনেছি যে, ওয়েব ব্রাউজার কি (What is a web browser), ওয়েব ব্রাউজার কি ধরনের সফটওয়্যার এবং তার ইতিহাস সাথে অন্যান্য কিছু গুরত্বপূর্ণ্য তথ্য।

যদি আজকের আর্টিকেল “browser বলতে কি বুঝায়“, আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং উপকারী হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন।

তাছাড়া, যদি উক্ত আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিয়ে (Eracox) ইরাকক্সের পাশে থাকবেন ইনশাল্লাহ।

অবশই পড়ুন –

  • ইউটিউব কি ? এটা কি ধরণের সাইট 
  • Google assistant কি ?

বাংলাদেশে তথা উন্নয়নশীল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এবং উপায়সমূহ

2

বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
অথবা,
উন্নয়নশীল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপায়সমূহ লিখ ।
অথবা,
বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজ পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা কর।

সুশাসন বা Good Governance হচ্ছে বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে একটি ব্যাপক প্রচলিত ধারণা, যার মাধ্যমে দেশের জনগণ কিভাবে শাসিত হবে, কিভাবে রাষ্ট্র
পরিচালিত হবে, রাষ্ট্র ও সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে ইত্যাদি জানা যায়।
আধুনিক সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিরাজমান সকল সমস্যার সমাধান ঘটিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। মূলত রাষ্ট্রকে সু ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

• বাংলাদেশে তথা উন্নয়নশীল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ :

বাংলাদেশে সহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকল্পে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন

ঔপনিবেশিক শাসনামলে ব্রিটিশরা তাদের স্বার্থান্বেষী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোনো আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেনি। ১৯৪৭ পরবর্তীতেও কোনো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়নি। সামরিক শাসনে রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এতই দুর্বল ছিল যে, আইয়ুব খান এসব প্রতিষ্ঠানকে নিজ দুর্বল প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই বাংলাদেশে সু-শাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন।

গণতান্ত্রিক চর্চা বৃদ্ধি

বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থায় আজ পর্যন্ত যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে কর্তৃত্বপরায়ণতা, পিতৃতান্ত্রিকতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও স্বজনপ্রীতি পরিলক্ষিত হয় এবং নেতা ও দলের মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধের অভাব। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলাদেশের সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে অর্থাৎ নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক চর্চা তথা জাতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

জবাবদিহিতা

সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে জবাবদিহিতা। কেননা দেশের সরকার এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা থাকলে তারা অন্যায় কাজ করতে ভয় পাবে। সহজে দুর্নীতিতে ঝরাবে না। যাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

স্বচ্ছতা

প্রশাসন কিংবা সরকার ব্যাবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল বিলাশীতায় পরিণত হবে। তাই প্রর্তেক বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার

বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থায় আজ পর্যন্ত যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে কর্তৃত্বপরায়ণতা, পিতৃতান্ত্রিকতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও স্বজনপ্রীতি পরিলক্ষিত হয় এবং নেতা ও দলের মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধের অভাব। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলাদেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে অর্থাৎ নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক চর্চা তথা জাতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

চারিত্রিক দৃঢ়তার বৃদ্ধি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের চারিত্রিক দুর্বলতা অত্যন্ত একটি। নীতির প্রশ্নে অটল থাকা, নিজের বা অন্যের প্রতি প্রদর্শিত আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া, অন্যায় নির্দেশকে অগ্রাহ্য করা, অঙ্গীকার/প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অন্যায় রুখে দাঁড়ানো প্রভৃতি চারিত্রিক সবলতা নেতাদের মাঝে দেখা যায় না। কার্যত এর বিপরীত অবস্থানটিই বিদ্যমান।

দুর্নীতি প্রতিরোধ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশ দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও বারোক্ষভাবে জড়িত। দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। কারণ দুর্নীতি সুশাসনের অন্তরায়।

বহিঃশক্তির উপর নির্ভরশীলতা

বিদেশি শক্তি ও সাহায্যদাতা দেশগুলোর উপর নির্ভর করে ক্ষমতা চর্চার চেষ্টা করে। থাকে দেশীয় রাজনৈতিক বিষয়াদিতে বিদেশি প্রভুশক্তির অনধিকার হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেয় নির্দ্বিধায়। যা আমাদের দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। তাই বহিঃশক্তির প্রভাবমুক্ত সু-শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।

স্বজনপ্রীতি পরিহার

বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থায় আজ পর্যন্ত যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে কর্তৃত্বপরায়ণতা, পিতৃতান্ত্রিকতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও স্বজনপ্রীতি পরিলক্ষিত হয় এবং নেতা ও দলের মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধের অভাব। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলাদেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা পরিহার করে অর্থাৎ নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক চর্চা তথা জাতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ সিন্ডিকেট কঠোরহস্তে দমন

সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি বড় অন্তরায় হচ্ছে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের মধ্যকার আঁতাত। ঋণখেলাপি শ্রেণি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। প্রতিনিধি নির্বাচনে অর্থের যোগান দিচ্ছে। এসব প্রতিনিধিরা অবশ্যই ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আইন ও নীতিমালা তৈরি করে, যা সু-শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে, অন্যদিকে এরা মাস্তান পোষে এবং আইন এদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ঐকমত্য প্রশ্নে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, যার ফলে আজও সমাধান হয়নি বাঙালি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দ্বন্দ্ব, স্থানীয় সরকার কাঠামো, পররাষ্ট্র নীতি ইত্যাদি। অতএব, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে ।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ

মানুষের বাকস্বাধীনতা ও জনগণের সচেতনতার জন্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। কিন্তু ক্ষমতার অধিষ্ঠিত হয়ে সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে যা সুশাসনের অন্তরায়। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের ত্রুটি কিংবা দুর্নীতি জনগণের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। কারণ গণমাধ্যম দেশের সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে বলা যায় যে,
সুশাসন একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে সুশাসন নেই বললেই চলে। তাই বাংলাদেশে সু-শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কতকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সবার নৈতিক চরিত্রের উন্নতি ও দেশপ্রেম দৃঢ় করতে হবে। তাহলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।


আমাদের সাথেই থাকুন–

facebook.com/sazzathj

facebook.com/sazzathj

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় – কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হবেন !

0
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে তার বিশেষ দক্ষতা থাকতে হয়, আর তা কাজে লাগিয়ে নিজেই প্রতিষ্ঠান গড়ে নিজের ও অন্যের জন্য কর্মসংস্থান করা যায়। একজন উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ধাপ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

সুস্পষ্ট লক্ষ্য স্থির ও কঠোর পরিশ্রম

উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে আপনাকে অবশ্যই সুস্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে হবে। প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন সফল উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকেন এবং সে লক্ষ্য মাথায় রেখে কঠোর পরিশ্রমের সাথে সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অর্থাৎ লক্ষ্যে পৌছার জন্য যত ধরনের বাধাই আসুক না কেন তা মেনে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে/

সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ও দক্ষতা 

আপনি যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান বা দক্ষতা থাকতে হবে। অর্থাৎ সে ব্যবসা সম্পর্কে যেন পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকে । প্রয়োজন হলে সে কাজে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ভালোভাবে শিখুন। তাতে করে আপনি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন এবং পরবর্তীতে আপনি নিজের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সফল হবেন ।

ঝুঁকি গ্রহণ ও কৌশলী হওয়া

যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে এবং ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব থাকতে হবে। ক্রেতাদের অবস্থা ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, ব্যবসা করতে হবে। অর্থাৎ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা ও বাজারে যে পণ্যের চাহিদা রয়েছে সে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীরা বাজারে কী পণ্য নিয়ে আসছে সেগুলো খেয়াল রাখুন। সবকিছুর বিবেচনায় আপনাকে ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন করতে হবে। যখন দেখবেন লাভের পরিমাণ বেশি এবং ঝুঁকির পরিমাণ কম তখন ঠিকই ঝুঁকি নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

নেতৃত্ব দেওয়া 

একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি থাকতে হবে। একজন মানুষ সকল বিষয়ে দক্ষ হয় না। এক্ষেত্রে টিম গঠন করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে এবং টিম পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। একজন সফল উদ্যোক্তাকে নিজে যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তেমনি অন্যদেরও সঠিক পথে পরিচালনা করেন। কাকে কি বললে সে ভালো কাজ করবে তা খুব সহজেই ধরতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী, আচরণ করতে পারেন। কর্মীদের ভেতর থেকে তাদের সেরাটা বের করে আনার সহজাত ক্ষমতা একজন সফল উদ্যোক্তার রয়েছে।

অর্থ ব্যবস্থাপনা ও হিসাব

একটি নতুন উদ্যোগ লাভের মুখ দেখতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এ লাভ আসার আগ পর্যন্ত হাতে থাকা অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে যে সমস্ত জায়গায় অতিরিক্ত ব্যয় হয় সে সকল ব্যয় বন্ধ করুন এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি আয় ব্যয়ের হিসাব রাখুন। এর ফলে কতটুকু লাভ হচ্ছে বা ক্ষতি হচ্ছে তা জানা যাবে।

গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও অভিযোগ গ্রহণ 

গ্রাহকদের সাথে আন্তরিকতার সাথে কথা বলে ও হাসিমুখে তাদের অভিযোগ গ্রহণ করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলোর সমাধান দিতে হবে। এতে করে গ্রাহকদের সাথে আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের একটি সু-সম্পর্ক স্থাপন হবে। গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে।

আত্মবিশ্বাস ও ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকা

নিজের ক্ষমতা ও যাবতীয় গুণাবলির ওপর পরিপূর্ণ আস্থাশীল ও বিশ্বাস স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে যে, সব বাধা অতিক্রম করেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছবেন । সফল উদ্যোক্তারা তাদের কাজকে উপভোগ করেন, সেকারণে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। তাছাড়া কোনো কাজের ক্ষেত্রে সফলতা ও ব্যর্থতা দু’টোই থাকে। আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আসতেই পারে। এ ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওপরে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করতে হবে। সততার সাথে নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলুন । দেখবেন সবকিছুই সহজ মনে হচ্ছে।


আপনিও চাইলে আমাদের ইরাকক্সে লিখতে পারেন আপনার লিখা, তাই আমদের সাথে যোগাযোগ করুন–

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সুশীল সমাজের ভূমিকা

0

সুশীল সমাজ সর্বদা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সুশীল সমাজ সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন তথা সমাজের মানুষের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। উন্নয়নশীল দেশ সত্যিকার স্বাধীনতার সুফল পেতে সুশীল সমাজ অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।
আজ আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলচনা করব। চলুন শুরু করা যাক-
→ নিম্নে উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্রায়ণে সুশীল সমাজের ভূমিকা আলোচনা করা হলো:

সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা :

গণতান্ত্রিক চেতনায় সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সাংবিধানিক সরকার একটি বৈধ সরকার। সংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের গুরুত্ব মূল্যায়নের প্রতিফলন ঘটে।

সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন :

সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্নীতিগ্রস্ত, ঋণখেলাপি, অসৎ, অযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সুশীল সমাজ তার জন্য কাজ করে ।

স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন :

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা একটি অত্যবশ্যকীয় কাজ। একটি গণতান্ত্রিক উন্নয়নশীল দেশে ভয়হীন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সুশীল সমাজ নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করে।

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা :

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ সর্বদা তৎপর। জনগণের অধিকার ভোগ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ কাজ করে।

আইনের শাসন :

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পূর্বশর্ত হলো আইনের শাসন। গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসন গুরুত্বপূর্ণ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।

স্বাধীন বিচারব্যবস্থা :

স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা সমাজের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন নাগরিকের অধিকার রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে গণতন্ত্রায়নের জন্য স্বাধীন বিচারব্যবস্থা অপিরিহার্য।

প্রশাসনিক জবাবদিহিতা :

শাসন বিভাগ তার উপর অর্পিত ক্ষমতা বা কার্যবলির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা আবশ্যক। শাসন বিভাগের কার্যবলির জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে। তাই প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সুশীল সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে ।

জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল :

গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান হলো জনমত। সুশীল সমাজ জনমতের উপর সর্বদাই গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। সুশীল সমাজ জনমত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

জাতিগত বিরোধ নিরসন :

উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জাতি, উপজাতি বসবাস করে। অনেক সময় এরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, সুশীল সমাজ গোষ্ঠী, জাতি ও উপজাতির এসব সংঘাত নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ৷

দুর্নীতি প্রতিরোধ :

গণতন্ত্র বিকাশে দুর্নীতি একটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। সুশীল সমাজ দুর্নীতি প্রতিরোধ করে গণতন্ত্র বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

জনগণকে গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ

সুশীল সমাজ সবসময় গণতান্ত্রিক মনের হয়ে থকে। এজন্য সুশীল সমাজ জনগণকেও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে গণতন্ত্র রক্ষা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


পরিশেষে বলা যায়, একটি উন্নয়নশীল দেশের গণতন্ত্র বিকাশে সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সুশীল সমাজ একটি রাষ্টের সরকারের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে আইনের মাধ্যমে, স্বচ্ছতা ও জবাব্দিহিতার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করে। সুতরাং সুশীল সমাজই হলো সমাজের সেই অগ্রগামী গোষ্ঠী যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদা তৎপর

Bandarban Zila Police Mobile APP

0

Privacy Policy

Bandarban Zila Police built the Bandarban Zila Police app as a Free app. This SERVICE is provided by Bandarban Zila Police at no cost and is intended for use as is.

This page is used to inform visitors regarding our policies with the collection, use, and disclosure of Personal Information if anyone decided to use our Service.

If you choose to use our Service, then you agree to the collection and use of information in relation to this policy. The Personal Information that we collect is used for providing and improving the Service. We will not use or share your information with anyone except as described in this Privacy Policy.

The terms used in this Privacy Policy have the same meanings as in our Terms and Conditions, which are accessible at Bandarban Zila Police unless otherwise defined in this Privacy Policy.

Information Collection and Use

For a better experience, while using our Service, we may require you to provide us with certain personally identifiable information, including but not limited to Balaghata Police Lines, Bandarban Sadar, Bandarban.. The information that we request will be retained by us and used as described in this privacy policy.

The app does use third-party services that may collect information used to identify you.

Link to the privacy policy of third-party service providers used by the app

Log Data

We want to inform you that whenever you use our Service, in a case of an error in the app we collect data and information (through third-party products) on your phone called Log Data. This Log Data may include information such as your device Internet Protocol (“IP”) address, device name, operating system version, the configuration of the app when utilizing our Service, the time and date of your use of the Service, and other statistics.

Cookies

Cookies are files with a small amount of data that are commonly used as anonymous unique identifiers. These are sent to your browser from the websites that you visit and are stored on your device’s internal memory.

This Service does not use these “cookies” explicitly. However, the app may use third-party code and libraries that use “cookies” to collect information and improve their services. You have the option to either accept or refuse these cookies and know when a cookie is being sent to your device. If you choose to refuse our cookies, you may not be able to use some portions of this Service.

Service Providers

We may employ third-party companies and individuals due to the following reasons:

  • To facilitate our Service;
  • To provide the Service on our behalf;
  • To perform Service-related services; or
  • To assist us in analyzing how our Service is used.

We want to inform users of this Service that these third parties have access to their Personal Information. The reason is to perform the tasks assigned to them on our behalf. However, they are obligated not to disclose or use the information for any other purpose.

Security

We value your trust in providing us your Personal Information, thus we are striving to use commercially acceptable means of protecting it. But remember that no method of transmission over the internet, or method of electronic storage is 100% secure and reliable, and we cannot guarantee its absolute security.

Links to Other Sites

This Service may contain links to other sites. If you click on a third-party link, you will be directed to that site. Note that these external sites are not operated by us. Therefore, we strongly advise you to review the Privacy Policy of these websites. We have no control over and assume no responsibility for the content, privacy policies, or practices of any third-party sites or services.

Children’s Privacy

These Services do not address anyone under the age of 13. We do not knowingly collect personally identifiable information from children under 13 years of age. In the case we discover that a child under 13 has provided us with personal information, we immediately delete this from our servers. If you are a parent or guardian and you are aware that your child has provided us with personal information, please contact us so that we will be able to do the necessary actions.

Changes to This Privacy Policy

We may update our Privacy Policy from time to time. Thus, you are advised to review this page periodically for any changes. We will notify you of any changes by posting the new Privacy Policy on this page.

This policy is effective as of 2022-06-25

Contact Us

If you have any questions or suggestions about our Privacy Policy, do not hesitate to contact us at [email protected].

This privacy policy page was created at privacypolicytemplate.net and modified/generated by App Privacy Policy Generator

error: Content is protected !!