Home Blog Page 3

সেলজুক সুলতান মালিক শাহ’র পরিচয় ও তার কৃতিত্ব।

0

সুলতান মালিক শাহের পরিচয় ও কৃতিত্ব (Introduction and Achievements of Seljuq Sultan Malik Shah)

সুলতান মালিক শাহ’র পরিচয়

সেলজুক বংশের সুলতানদের মধ্যে মালিক শাহ (শাসনকাল: ১০৭২-১০৯২ খ্রি.) সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী ও সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন। পিতা আল্প আরসালানের মৃত্যুর পর আবুল ফাতাহ মালিক শাহ সেলজুক শাসক হন। আড়ম্বর, ঐশ্বর্য ও জনকল্যাণের দিক দিয়ে মালিক শাহের শাসনকাল রোমান অথবা আরব শাসনের শ্রেষ্ঠ যুগের সমকক্ষ ছিল। মালিক শাহের এ শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে যে সব বিষয় ক্রিয়াশিল ছিল বলে বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো—
প্রথমত, মালিক শাহের শাসনকালে সেলজুবাদের প্রভুত্ব সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনে বিস্তার লাভ করে।
দ্বিতীয়ত, তিনি আব্বাসি খিলাফতকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজধানীকে ইস্পাহান থেকে বাগদাদে স্থানান্তরিত করেন।
তৃতীয়ত, তিনি শাসনসংস্কার ও শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করে ইসলামি বিশ্বের গৌরবের পতাকা সমুন্নত রাখেন।

মৃত্যু, মালিক শাহ ২১ বছর রাজত্বের পর ১০৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। পি. কে. হিট্টি বলেন, “মালিক শাহের রাজত্বকালে সেলজুক ক্ষমতা সর্বোচ্চ বিন্দুতে উপনীত হয়।

সুলতান মালিক শাহ’র কৃতিত্ব

বিদ্রোহ দমন:

মালিক শাহের রাজত্বের প্রথমভাগে কয়েকটি বিদ্রোহ দেখা দেয়। তিনি এ সব বিদ্রোহ সাফল্যের সাথে দমন করেন। বিদ্রোহ গুলোর একটি পারস্যের (বর্তমান ইরান) তুসে তার ভাইয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল।

বাইজান্টাইনদের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার:

সুলতান মালিক শাহ রোমের সামন্ত রাজা সুলাইমানকে পরাজিত করে সীমান্ত পর্যন্ত সেলজুক রাজ্য বিস্তার করেন এবং অনেকগুলো দ্বীপ দখল করেন। কনস্টান্টাইন ডুকাসের পুত্রের সিংহাসন ত্যাগের পর নাইসিফোরাস বোটানিয়েটস বাইজান্টাইন সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ও তার উত্তরাধিকারী অলেক্সিয়াস কমনিসাস মালিক শাহকে ঊর্ধ্বতন প্রভু বলে স্বীকার করে তাকে করদানে সম্মত হন। ১০৭৪-৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সুলাইমান গ্রিকদের এন্টিয়ক থেকে বিতাড়িত করে সুলতানের নামে নগরটি পুনরাধিকার করেন।

রাজ্যের সংহতি বিধান:

সুলতান মালিক শাহ রাজ্য সম্প্রসারণ অপেক্ষা রাজ্যের সংহতি বিধানে বেশি মনোযোগী ছিলেন। চীনের সীমান্ত থেকে পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত এবং উত্তরে জর্জিয়া থেকে দক্ষিণে ইয়েমেন বিস্তৃত মালিক শাহের বিশাল রাজ্যের সর্বত্র সুখ ও শান্তি বিরাজ করত।

সাহিত্য ও ললিতকলার পৃষ্ঠপোষকতা:

মালিক শাহের উদার পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সাহিত্য ও ললিতকলা সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। তার সময়ে ইসলামি রাজ্যে ফারসি ভাষা চর্চার অভূতপূর্ব তৎপরতা দেখা যায়। মালিক শাহ সেলজুক সাম্রাজ্যের নগরগুলোতে অনেক উচ্চবিদ্যালয় নির্মাণ করেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, “মালিক শাহের রাজত্বকালে উদার-পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সাহিত্য ও ললিতকলা সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। (৪৬)

জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ:

মালিক শাহ ছিলেন একজন প্রজারঞ্জক শাসক। আব্বাসি খলিফা রশীদ ও মামুনের মতো তিনি সওদাগর ও মুসাফিরদের নিরাপত্তার জন্য বাণিজ্য ও হজযাত্রার পথের পাশে বিশ্রামাগার ও প্রহরীগৃহ নির্মাণ করেন। তিনি রাজ্যের সর্বত্র রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, সুরম্য অট্টালিকা ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানে স্থানে পানি নিষ্কাশনের জন্য নর্দমা খনন করেন। মালিক শাহ উজির নিজাম-উল-মূলকের সহায়তায় সুষ্ঠু কর ব্যবস্থার বাস্তবায়নের জন্য সামন্ততন্ত্র চালু করেন। তিনি সৈন্যদের মধ্যে ভূমি বণ্টন করে তাদের কাছ থেকে নিয়মিত কর আদায়ের ব্যবস্থা করেন।

স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা:

স্থাপত্যশিল্পের দিক থেকে বিচার করলে মালিক শাহের রাজত্বকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজাম-উল-মূলক প্রথম ইস্পাহানের জামে মসজিদ নির্মাণে সেলজুক স্থাপত্যরীতি প্রবর্তন করেন। সেলজুক আমলে ইরানে নির্মিত অসংখ্য মসজিদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ইস্পাহানের জামে মসজিদ।

জ্ঞান-বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা:

মালিক শাহের অর্থানুকূল্যে বিদ্যোৎসাহী উজির নিজাম শিক্ষার প্রসারে বাগদাদে ১০৬৫ ১০৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ইসলামের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নামে খ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। এটি ছাড়াও তিনি রাজ্যের সর্বত্র অসংখ্য মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। ইসলামের শ্রেষ্ঠ ধর্মতাত্ত্বিক এবং চিন্তাবিদ ইমাম গাজ্জালি (১০৫৮-১১১১ খ্রি.) এ মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন। মহাকবি শেখ সাদী এ মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা:

মালিক শাহ জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১০৭৫ খ্রিষ্টাব্দে উজির নিজামের পরামর্শে মালিক শাহ নিশাপুরে একটি জ্যোতির্বিদ সম্মেলন আহ্বান করেন। ঐ সম্মেলনে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণীত হয়। গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের জন্য নিশাপুরে একটি মানমন্দিরও নির্মাণ করা হয়। প্রখ্যাত দার্শনিক, কবি, জ্যোতির্বিদ এবং গণিতবিশারদ উমর খৈয়ামের নেতৃত্বে জ্যোতির্বিদসহ বিজ্ঞানীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

জালালি পঞ্জিকা প্রবর্তন:

উমর খৈয়ামের নেতৃত্বে নিশাপুরের জ্যোতির্বিদরা চান্দ্র মাসের পরিবর্তে সৌর মাস অনুযায়ী গণনার প্রথা চালু করেন। প্রচলিত গণনাপদ্ধতির যাবতীয় ভুল সংশোধন করে একটি নতুন পঞ্জিকা তৈরি করা হয়। সুলতান মালিক শাহ জালাল-উদ-দৌলাহর নামানুসারে এটির নামকরণ হয় জালালি পঞ্জিকা। ঐতিহাসিক গিবনের মতে, ‘নির্ভুলতায় এ গণনা জুলীয় গণনাকে অতিক্রম করে গ্রেগরীয় গণনার কাছাকাছি পৌঁছেছিল।’

নিজামুল মুলক ও তার অবদান:

সেলজুক রাজত্বে শাসনকাজের সংস্কার, সমৃদ্ধি এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির জন্য মালিক শাহের সুযোগ্য প্রজ্ঞাবান উজির খাজা হাসান নিজাম-উল-মুলকের অবদান ছিল অপরিসীম। আল্‌প-আরসালান এবং মালিক শাহের উজির হিসেবে খাজা হাসান সেলজুক বংশ তথা আব্বাসি সুন্নি খিলাফতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। ইবনে খাল্লিকান বলেন, “মালিক শাহের প্রায় বিশ বছরের রাজত্বকালে (১০৭৩-১০৯২) নিজামুল মুলক নিজ হাতে সমস্ত ক্ষমতা এমনভাবে কেন্দ্রীভূত করেন যে, সুলতানের সিংহাসনে উপবিষ্ট থাকা অথবা মৃগয়ায় যাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না।(৪৭) নিজামের একনিষ্ঠ সেবা ও আনুগত্যে প্রীত হয়ে সুলতান মালিক শাহ তাকে ‘আতাবেগ’ (আমিরের শাসনকর্তা) উপাধিতে ভূষিত করেন। এজন্যই পি. কে. হিট্টি নিজামুল মুলককে ইসলামের রাজনৈতিক ইতিহাসের অলঙ্কার বলে অভিহিত করেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, “এশিয়া যে সকল উজির ও শাসকের জন্মদান করেছিল তার মধ্যে ইয়াহহিয়া বার্মাকির পর নিজাম-উল-মুলক-ই শ্রেষ্ঠ।” নিজাম-উল-মুলকের ‘সিয়াসত নামা’ গ্রন্থকে (Siyasat Namah) রাজ্য শাসনপ্রণালির ওপর লিখিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক রচনা বলে মনে করা হয়।

(৪৫) It was Malik Shah (1072-92) under whom Seljuq power reached its meridian. Ref: P.K. Hitti, History of the Arabs, p.476
(৪৬) During Malik Shah reign Arts and literature were fostered by a lavish patronage. -Ref: Syed Ameer Ali, A Short History of the Saracens, p.316
(৪৭) One of the ornaments of political history of Islam. -Ref: P.K. Hitti, History of the Arabs, p.477,
(৪৮) Nizam ul-Mulk was probably, after Yahya Barmeki, the ablest minister and administrator Asia has ever produced. -Ref: Syed Ameer Ali, A Short History of the Saracens, p.315

সুলতান আল্প আরসালান এর পরিচয় ও কৃতিত্ব।

0

সুলতান আল্প আরসালানের পরিচয় ও কৃতিত্ব Introduction and Achievements of Sultan Alp Arsalan

আল্প আরসালানের পরিচয়

সেলজুক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ভূমিলের কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় তার মৃত্যুর পর ভাইয়ের ছেলে আলপ আরসালান সেলজুকদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। আরসালান শব্দের অর্থ বীর সিংহ। আলপ আরসালান একজন বীর সিংহের’ মতোই দায়িত্ব পালন করেছেন। খলিফা আল-কায়িম (১০৩১-১০৭৫ খ্রি.) তাকে আজুদদ্দৌলাহ উপাধি প্রদান করেন। তিনি ১০৬৩-১০৭৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সগৌরবে শাসন করে সেলজুক বংশের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেন। এ মহান শাসক ১০৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত একজন বিদ্রোহীর হাতে গুরুতরভাবে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

আলুপ আরসালানের চরিত্র

ঐতিহাসিক ইবনুল আসীর আলুপ আরসালানকে উদার, মহানুভব, ন্যায়পরায়ণ ও জ্ঞানী শাসক, ধার্মিক, দয়ালু, সানশীল, দরিদ্রের প্রতি সহমর্মী, নিন্দনীয় কার্যকলাপ বিমুখ এবং সর্বোপরি সাহসী বলে বর্ণনা করেছেন। রোম সম্রাটের প্রতি সদয় ব্যবহার তার মহানুভবতার পরিচয় বহন করে। তিনি ন্যায়পরায়ণ এবং প্রজাহিতৈষী শাসক হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। মনোবল, ধর্মবল ও বাহুবলে তিনি সমান ছিলেন। দুর্বল আব্বাসি শাসকের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। এশিয়া মাইনরে সুন্নি ইসলামের প্রাধান্য বিস্তারের ক্ষেত্রে আলুপ আরসালান ছিলেন অগ্রপথিক।

আল্প আরসালানের কৃতিত্ব

মুসলিম প্রাচ্যে গৌরবোজ্জ্বল শাসনের সূচনা:

রাজ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলুপ আরসালান মুসলিম প্রাচ্যে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেন। পি কে হিট্টি বলেন, তুমিল (১০৩৭-১০৬৩), তার ভ্রাতুষ্পুত্র ও উত্তরাধিকারী আলপ আরসালান (১০৬৩-১০৭২) এবং মালিক শাহের শাসনকাল (১০৭২-১০৯২) মুসলিম প্রাচ্যে সেলজুক উত্থানের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করে।

সাম্রাজ্য সুসংহতকরণ:

আলুপ আরসালানের রাজত্বকালে তুর্কি উপজাতিরা দলে দলে মুসলিম বাহিনীতে যোগদান করলে তার পক্ষে আব্বাসি সাম্রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল পুনর্দখল করে একটি সুসংহত রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এর ফলে মুসলিম সৈন্যবাহিনীর মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। মুসলিম বাহিনী আরও শক্তিশালী এবং অপ্রতিহত হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে মালাজকার্দের যুদ্ধে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠা:

সেলজুক বংশের প্রতিষ্ঠাতা তুমিল পূর্বাঞ্চলের খোরাসান প্রদেশের মার্তে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু এটি রাজ্যের এক প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্রোহ দমন ও বাইজান্টাইনদের মোকাবিলায় সমস্যা দেখা দিত। দূরদর্শী প্রশাসক হিসেবে আলপ আরসালান রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ইস্পাহানে রাজধানী স্থানান্তর করেন।

দুর্বল আব্বাসি খলিফার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক:

অতীতে বুয়াইয়া আমিররা দুর্বল আব্বাসি খলিফাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানলেও সেলজুক সুলতানরা খলিফাদের সাথে শ্রদ্ধা ও ভক্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আলপ আরসালান ও তার পূর্বসূরি তুগ্রিলের মতোই দুর্বল খলিফা কায়িমের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।

বাইজান্টাইনদের সাথে সাথে ও লালাভ:

আপন আরসাপানের রাজত্বকালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল বাইজান্টাইনদের সাথে সংঘাত ও জয়লাভ। ভূমিলের সময় মুসলমানদের সাথে বাইজান্টাইনদের যে সংঘর্ষের সূচনা হয় আলপ আরসালানের সময় তা চরম আকার ধারণ করে। ভূমিস ১০৬০ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে -তাদেরকে কারাডোর্সিয়া ও জির্জিয়া থেকে বিতাড়িত করেন। তবে এ অ্যালকে স্থায়ীভাবে জয় করেন আলপ আরসালান। এর পর ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া জয় করে আজারবাইজানে অবস্থানের সময় খবর পান যে, ডায়াজিনিস রানা (মাস) নামের এক ব্যক্তি সম্রাজ্ঞী ইউভোগিয়ার কল্যাণে বধ্যভূমি থেকে মুক্তি পেয়ে বাইজান্টাইন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বাগদাদ পশ্চিম এশিয়া রোমকদের পদানত করার উদ্দেশ্যে দু’লক্ষ সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে অকস্মাৎ এশিয়া মাইনর আক্রমণ করেছেন। ঐতিহাসিকদের মতে, কনস্টান্টিনোপল থেকে বিজয়াভিয়ান অথবা পৃষ্ঠনের জন্য ইতোপূর্বে এর চেয়ে বেশি সুসজ্জিত ও বড় সৈন্যবাহিনী বের হয়নি।

মালাজগ্রিট যুদ্ধ ও সন্দি;

বাইজান্টাইনদের আগমনের সংবাদে বিচলিত না হয়ে শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য আলপ আরসালান মাত্র ৪০,০০০ সৈন্য নিয়ে আর্মেনিয়ার দিকে যাত্রা করেন এবং মালাজকার্দে ঘাঁটি স্থাপন করেন। মালাজকার্দ ছিল বর্তমান আজোম এবং ভ্যান নগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি বিখ্যাত দুর্গ। এখানে উভয় বাহিনী মুখোমুখি হয়। প্রথম দিকে মুসলমান সেনারা শত্রুর সংখ্যাধিক্যে ভীত হয়ে পড়লেও তাদের অদম্য স্পৃহার ফলে অচিরেই বাইজান্টাইনরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়। সম্রাট রোমানাস বন্দি হন। পি কে হিট্টির মতে, মালাজকার্নে বাইজান্টাইনদের বিপর্যয়ে সেলজুক নেতৃত্বাধীন মুসলমানরা সর্বপ্রথম রোমান সম্রাটের অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারে সমর্থ হয়। এভাবে এশিয়া মাইনরের তুর্কিকরণের প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আলাপ-আলোচনার পর সুলতান ও রোমানাসের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হয়। এ সন্ধির শর্তানুসারে রোমানাস তার কন্যাদের আপ আরসালানের পুত্রদের সাথে বিবাহ দিতে ও বন্দিত্ব মোচনের জন্য দশ লক্ষ এবং বাৎসরিক রাজস্বস্বরূপ তিন লক্ষ ষাট হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিতে এবং সকল যুদ্ধবন্দি ফেরত দিতে রাজি হন।

যুদ্ধের ফলাফল:

মালাজকার্দের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ যুদ্ধে মুসলমানদের জয়লাভের ফলে এশিয়া মাইনরে বাইজান্টাইন প্রভুত্ব হ্রাস পেয়ে সেলজুক প্রাধান্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। আরসালান যুদ্ধজয়ের পর অধিকৃত অখালের শাসনভার পিতৃব্যপুত্র সুলায়মান ইবন কুতলুমিশের হাতে অর্পণ করেন। সুলায়ম বিজ্ঞ শাসক ও সাহসী যোদ্ধা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রাজ্যসীমা উত্তরে হেলেসপন্ট ও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন এবং বাইজান্টাইন সম্রাটদের কাছ থেকে কর আদায় করেন। মালাজকার্দের যুদ্ধে মুসলিম বিজয় এশিয়া মাইনরে খ্রিস্টান প্রভৃত্বের সম্ভাবনা দূর করে এবং ইসলামের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটায়। এশিয়া মাইনরের তুর্কিকরণ শুধু ইসলামের রাজ্য এবং ধর্ম বিস্তারেই সহায়ক ছিল না, বরং এর ফলে পরবর্তীকালে অটোমান তুর্কিদের আবির্ভাব সুনিশ্চিত হয়। মালাজকার্দের যুদ্ধ জয়ের ঘটনাকে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল) জয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলেও মনে করা হতো।

ইসলামি বিচার ব্যবস্থা ও প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার পার্থক্য।

0
ইসলামি বিচার ব্যবস্থা ও প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার পার্থক্য।

প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ও ইসলামি বিচার ব্যবস্থার পার্থক্য।
Difference Between the Prevalent Judicial System and the Islam

প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ও ইসলামি বিচার ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো।

প্রয়োগ ক্ষেত্রে :

প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কার্যকরী হয়। পক্ষান্তরে, ইসলামি বিচার ব্যবস্থা ইসলামি রাষ্ট্র ছাড়া কার্যকরী হয় না।

চুরির শাস্তি ক্ষেত্রে :

ইসলামি বিধানে চুরির শাস্তি হলো চোরের হাত কর্তন করা। যেন পরবর্তীতে এমন কাজের সাহস না পায়। পক্ষান্তরে, সাধারণ বিচার ব্যবস্থায় সামান্য জেল জরিমানার পর চোরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে সে আরো সাহসী হয়।

হত্যার শাস্তি ক্ষেত্রে :

ইসলামি বিচার ব্যবস্থায় হত্যার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। পরিভাষায় এটাকে কিসাস বলা হয়। পক্ষান্তরে, প্রচলিত আইনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাস্তি হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

ব্যভিচারের শাস্তি ক্ষেত্র :

ইসলামি আইনে কোনো অবিবাহিত নারী-পুরুষ যেনা-ব্যভিচার করলে শাস্তি একশ’ দোররাঘাত। আর বিবাহিত হলে পাথর মেরে হত্যা করা। অপরপক্ষে, প্রচলিত আইনে জোর করে সতীত্ব হরণের শাস্তি সামান্য জেল-জরিমানা।

অপবাদের শান্তি ক্ষেত্রে :

ইসলামি আইনে কোনো সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপের শাস্তি হলো আশি দোররাঘাত। কিন্তু প্রচলিত আইন ব্যবস্থায় এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারিত নেই।

মদ্যপান ও জুয়া খেলার শাস্তি ক্ষেত্রে :

ইসলামি আইনে মদ্যপান ও জুয়া খেলার মতো গর্হিত কাজের শাস্তি নির্দিষ্ট রয়েছে। পক্ষান্তরে, সাধারণ বা প্রচলিত আইনে এ দু’টি অপরাধের জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারিত নেই।

বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতা :

ইসলামি ব্যবস্থায় আইন সুস্পষ্ট। এখানে উকিলের প্রয়োজন হয় না, তাই বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন হয়। অপরপক্ষে, প্রচলিত আইন এতই জটিল যে, ডাকল ছাড়া মামলা পরিচালনা সম্ভব হয় না। ফলে বিচারকার্যে সময়ও বেশি লাগে।

দেস্তান – মহাকাব্য (সকল পর্ব একসাথে)

0

পরিচালক এবং লেখক পরিচিতিঃ
এই সিরিজের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করবেন ইব্রু শাহিন এবং এডিপ টেপেলি। এবং এই সিরিজটি বোজদাগ ফিল্ম প্রোডাকশন এবং আমির খলিলজাদেহ পরিচালিত। এটি অষ্টমম শতাব্দীর একটি অমর প্রেমের গল্প, এই সিরিজের লেখক ফেরদা এরিলমাজ এবং নেহির এরদেম।

পেক্ষাপটঃ
তুর্কিদের ইসলাম গ্রহণের আগে নবম শতাব্দীতে সংঘটিত এই গল্পটি একটি অল্পবয়সী মেয়ে এবং একজন খানের ছেলের প্রেমের কাহিনী।মধ্য এশিয়ার পাহাড়ি উপজাতির একটি দরিদ্র মেয়ে এবং একজন খানের প্রতিবন্ধী ছেলের প্রেমের সাথে ঘটে যাওয়া গল্প নিয়ে..।

অনেকেই মনে করছেন এটা ইসলাম গ্রহণের আগের ইতিহাস। তাও আবার প্রেমের কাহিনী নিয়ে। আসলে বিষয়টি শুধু এটুকুই না। আমাদের আগে বোঝা উচিৎ কারা এই সিরিজের পরিচালক এবং প্রযোজক।
আগেই বলা হয়েছে এই সিরিজের প্রযোজক বোজদাগ ফ্লিম প্রোডাকশন।
বোজদাগ ফিল্মের প্রযোজিত কয়েকটা সিরিজ যেগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ,
যেমনঃ দিরিলিস আরতুগ্রুল, কুরুলুস উসমান,মেনদিরমান জালালুদ্দিন।

আরো একটা কথা না বললেই নয়, এই সিরিজে শুধু প্রেমের কাহিনী দেখানো হবে না। এখানে তুর্কিদের হারানো ইতিহাস এবং তুর্কি ভূমি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ঘটনা কে-ও তুলে ধরা হবে। এবং দেখানো হবে জাযাবর তুর্কিরা কিভাবে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করে দ্বীনের জন্য নিবেদিতপ্রান হিসেবে আবির্ভূত হয়।

দেস্তান সিরিজ এর সকল পর্ব

দেস্তান সিরিজ এর সকল পর্বের লিংক এইখানে এক সাথে পাওয়া যাবে। সাথে একাধিক সাবটাইটেল ত আছেই। প্রতি মঙ্গলবার ATV তে সম্প্রচারিত হয়। তার পর বাংলা সাবটাইটেল করা হয়, সাবটাইটেল বের হওয়ার সাথে সাথে এখানে লিংক এড করা হবে।

দেস্তান ভলিউম ১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা

দেস্তান ভলিউম ২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা

ফেসবুক লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা

দেস্তান ভলিউম ৩

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা

দেস্তান ভলিউম ৪

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা / ঐতিহাসিক তুর্কিরা ২ / হারানো ইতিহাস / হারানো ইতিহাস ২

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

দেস্তান ভলিউম ৫

লিংক সমূহ:- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া

দেস্তান ভলিউম ৬

লিংক সমূহঃ- হারানো ইতিহাস / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা / হারানো ইতিহাস / অনুবাদ মিডিয়া।

দেস্তান ভলিউম ৭

লিংক সমূহঃ- হারানো ইতিহাস / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- হারানো ইতিহাস / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া।

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

দেস্তান ভলিউম ৮

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা।

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা।

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

দেস্তান ভলিউম ৯

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা।

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া।

দেস্তান ভলিউম ১০

ফেসবুক লিংকঃ- প্রথম লিংক / ফেসবুক লিংক ২ / ফেসবুক লিংক ৩ / ফেসবুক লিংক ৪ / ফেসবুক লিংক ৫ / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / অনুবাদ মিডিয়া।

দেস্তান ১১ বাংলা সাবটাইটেল

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা

দেস্তান ভলিউম ১২

ফেসবুক লিংকঃ- ঐতিহাসিক তুর্কিরা / উসমান অনলাইন

দেস্তান ভলিউম ১৩

ফেসবুক লিংকঃ- ইসলামি মিডিয়া / ঐতিহাসিক তুর্কিরা / উসমান অনলাইন।

দেস্তান ভলিউম ১৪

FB Link:- অনুবাদ মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া FB / ঐতিহাসিক তুর্কিরা।

দেস্তান ভলিউম ১৫

ফেসবুক লিংকঃ- ইসলামি মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া

দেস্তান ভলিউম ১৬

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামি মিডিয়া

দেস্তান ভলিউম ১৭

FB Link:- ইসলামি মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া।

দেস্তান ভলিউম ১৮

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- ইসলামি মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

দেস্তান ভলিউম ১৯

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া ১ / অনুবাদ মিডিয়া ২ /

ফেসবুক লিংকঃ- ইসলামি অনুবাদ / অনুবাদ মিডিয়া।

দেস্তান ভলিউম ২০

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ-

দেস্তান ভলিউম ২১

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ-

দেস্তান ভলিউম ২২

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া

দেস্তান ভলিউম ২৩

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান – বুয়ুক সেলজুকলো। (সকল পর্ব একসাথে)

4

আল্প আরসালান – বুয়ুক সেলজুকলো একটি জনপ্রিয় টার্কিশ ইসলামিক ড্রামা সিরিজ। বিশ্ব কাপানো এই সিরিজ টি ২২ নবেম্বর ২০২১ এ টার্কিশে তুরষ্কের TRT1 তে প্রচার শুরু হয়।

উক্ত সিরিজ টি উইয়ানিস বুয়ুক সেলজুকলো এর পরবর্তি সিজিন হিসেপে প্রাচারিত হয়। আল্প-আরসালান সিরিজ টি মহান সুলতান মোহাম্মদ আল্প-আরসালান বেগ কে নিয়ে নির্মিত। এখানে তার জীবনি ফুটিয়ে তুলা হয়েছে।

আল্প-আরসালান সিরিজে দেখানে হয়েছে মুসলিমদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের কথাঅনুবাদ মিডিয়া। আল্প আরসালান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সুলতান আল্প আরসালান পোষ্ট টি পড়তে পারেন।

আল্প আরসালান – বুয়ুক সেলজুকলো

আল্প আরসালান – বুয়ুক সেলজুকলো সিরিজের সকল ভলিয়ম এখানে একসাথে দেওয়া হয়। এমন কি সকল অনুবাদ অর্থাৎ সাবটাইটেল। যথাঃ- উসমান অনলাইন, অনুবাদ মিডিয়া, দুরবীন মিডিয়া, ইসলামী অনুবাদ ইত্যাদি। আর হ্যা, আরেক কথা, এই খানে সকল পর্ববের লিংক পাবেন এক সাথে, আপলোড হওয়ার সাথে সাথে এখানে পোস্ট করা হবে।

চলুন শুরু করা যাক,

আল্প আরসালান সিজন ০১

আল্প আরসালান ভলিউম ১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ / উম্মাহ ভিউ

ফেসবুক লিংকঃ- উম্মাহ ভিউ

আল্প আরসলান ভলিউম ২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

ফেসবুক লিংকঃ- উম্মাহ ভিউ

আল্পআরসালান ভলিউম ৩

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

ফেসবুক লিংকঃ- উম্মাহ ভিউ।

আল্প-আরসলান ভলিউম ৪

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / উসমান অনলাইন-২ / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ

ফেসবুক লিংকঃ- উম্মাহ ভিউ / উসমান অনলাইন / ইসলামি অনুবাদ / অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ৫

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / উসমান অনলাইন ২ / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামি অনুবাদ।

আল্প-আরসালান ভলিউম ৬

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

এখানে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করুন অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

আল্প আরসলান ভলিউম ৭

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

এখানে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করুন অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

আল্প-আরসালান ভলিউম ৮

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / উসমান অনলাইন ২ / অনুবাদ মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া ২

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

এখানে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করুন অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

আল্প আরসলান ভলিউম ৯

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

এখানে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করুন অনুবাদ মিডিয়া কর্তৃক সাবটাইটেল।

আল্প-আরসলান ভলিউম ১০

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

Alp Arsalan Bangla 11

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া-১ / অনুবাদ মিডিয়া ২

Alp arsalan ep 12 bangla

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক উসমান অনলাইন কর্তৃক সাবটাইটেল।

আল্প আরসালান ভলিউম ১৩

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া সাবটাইটেল।

আল্প আরসালান ১৪ বাংলা

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ১৫

Web link:- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

Facebook link:- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

এক ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড লিংক উসমান অনলাইন সাবটাইটেল।

আল্প আরসালান ভলিউম ১৬

Web link:- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

FB Link:- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ১৭

Web Link:- উসমান অনলাইন

FB Link:-

আল্প আরসালান বাংলা ১৮

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ১৯

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ-

আল্প আরসালান ভলিউম ২০

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ২১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ২২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ২৩

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

আল্প আরসালান ভলিউম ২৪

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ২৫

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

Alp Arsalan Bangla 26

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন

আল্প আরসালান ভলিউম ২৭

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান সিজন ০২

আল্প আরসালান ভলিউম ২৮

লিংক ১

আল্প আরসালান ভলিউম বাংলা সাবটাইটেল ২৯

উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ৩০

লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ৩১

লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ৩২

লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / link 2 / উসমান অনলাইন।

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৩

লিংক সমূহ – অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

Alp Arsalan Bangla subtitle 34

লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৫

লিংক ১

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৬

লিংক ১ 

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৭

লিংকঃ- উসমান অনলাইন 

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৮

লিংকঃইসলামি মিডিয়া / উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া। 

আল্প আরসালান ভলিউম ৩৯

লিংকঃউসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী মিডিয়া

আল্প আরসালান ভলিউম ৪০ 

লিংকঃ- লিংক ০১ / লিংক ০২ / লিংক ০৩ 

আল্প আরসালান ভলিউম ৪১

লিংক সমূহঃ- সার্ভার ১ / সার্ভার ২ / 

আল্প আরসালান ভলিউম ৪২

কমেন্ট করতে ভুলবেন না। বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। আর সকল ধরনের সাবটাইটেল ও সকল লিংক পেতে আমাদের সাথে থাকুন। চাইলে লিংক টি কপি করা রাখতে পারেন- eracox.com/আল্প-আরসালান

অন্য-আন্য ইসলামিক সিরিজ গুলি নিম্নে দেওয়া হলঃ-

দিরিলিস আর্তুগ্রুল

কুরুলুস উসমান

উইয়ানিস – বুয়ুক সেলজুকলো

বারবারোসলার – ভুমধ্যসাগরের তরবারী।

সকল ইসলামিক সিরিজের লিংক পেতে আমাদের সাথে থাকুন। চোখ রাখুন আমদের ফেসবুক পেইজে। আর আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

আল্প আরসালান ভলিউম ৪৯

অনুবাদ মিডিয়া, উসমান অনলাইন

এসএসসি’র পর অবসর উদযাপন – নতুন জীবনের অগ্রযাত্রা।

0

এসএসসি’র পর অবসর উদযাপন যে ভাবে করবেন তা নিয়ে আজকের এই টপিক। চলুন শুরু করা যাক –

এসএসসি পরীক্ষার পরের সময়টুকুর মতো লম্বা ছুটি তাড়াতাড়ি আর পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। তবে সময়টা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে তা জীবনের বাঁক ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট।

নতুন ভাষা শেখা

ইংরেজির পাশাপাশি অন্য বিদেশি ভাষা জানা খুব কাজে দেয়। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া, স্কলারশিপ পাওয়া বা ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বদল অনেক ক্ষেত্রেই কাজে দেবে এই সময়ে বিদেশি কোনো ভাষা শিখে ফেললে।

কম্পিউটার শেখা

ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিখে নেওয়া যায় MS Word, MS Excel, Power Point-এর মতো বিষয়গুলো। পড়াশোনা বা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে তো কাজে দেবেই, ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রেও এর সুফল মিলবে।

ভোকাবুলারি

নিজের ভোকাবুলারিতে নজর দেওয়া যায়। কমপক্ষে ১৫০০ ইংরেজি শব্দ এমনভাবে শেখা দরকার যাতে সেগুলো মাথার ভেতর থাকে সবসময়। পড়াশোনা তো বটেই কথা বলার সময়ও এই শব্দগুলো কাজে দেবে।

নেটওয়ার্কিং

জীবনে সফল হতে গেলে এখন নেটওয়ার্কিং-এর বিকল্প নেই। এই সময়ে অন্তত ১০০ জনের নতুন নেটওয়ার্ক বানিয়ে নেওয়া যায় । লেখক, সাংবাদিক, ডাক্তার, পুলিশ অফিসার, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, মিলিটারি, Mid to High Level corporate বস, পাইলট, কূটনীতিক, কৃষক, রিকশাচালক “যে কেউ হতে পারে এই নেটওয়ার্কের অংশ।

ইলেকট্রনিকসের কাজ

অনেকেরই ইলেকট্রনিকসের কাজের প্রতি ঝোঁক থাকে। নিজে নিজেই হয়তো শেখা হয়েছে টুকটাক কাজ, আরেকটু ভালো করে শিখে নেওয়া যায় এই সময়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের কিন্তু খুব ভালো মাধ্যম এটা।

অনলাইন থেকে রোজগার

পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করে রোজগারের কথা অনেকেই ভাবেন। অনলাইন মাধ্যম হতে পারে একটা ভালো উপায়। শেখা যেতে পারে Search Engine Optimization (SEO)। SEO ব্যবহার করে ইউটিউব বা ফেসবুক পেইজের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে রোজগার করা যায়। শেখা যায় ভিডিও এডিটিং। এতে নিজের বানানো ভিডিও নিজেই এডিট বা ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করা সম্ভব।

উচ্চশিক্ষার খোঁজখবর

এইচএসসি’র পর কোথায়, কোন বিষয়ে দেশে না কি বিদেশে লেখাপড়ার আগ্রহ সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই এবং সেই অনুযায়ী খোঁজখবরও নিয়ে ফেলতে হবে এই ছুটিতে। বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে আগ্রহী। কোন কোন দেশে কী কী স্কলারশিপ দেয়, কী যোগ্যতা বা দরকারি কাগজপত্র— এসব জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

এখনই আয়

করোনার এই সময়ে অনেকেই হয়তো পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার কথা ভাবেন। সাইকেল চালাতে পারলে ডেলিভারির কাজ হতে পারে একটা ভালো উপায়। অনলাইন শপ বা ডেলিভারি সার্ভিসগুলোতে যুক্ত হওয়া যায়।

সেলাইয়ের কাজও কিন্তু ঘরে বসে আয় করার জন্য দারুণ উপায়। কাটিং-সুইং এর একটা শর্ট কোর্স করে নেওয়া যায়। ফেসবুকে গ্রুপ বা পেইজ খুলে পোশাক তৈরির অর্ডারও মিলতে পারে তাতে।

নন ফিকশন বই

পড়া যায় কিছু নন ফিকশন বই। হতে পারে সেটা ক্যারিয়ার বা মোটিভেশন সংক্রান্ত বই অথবা কারো বায়োগ্রাফি। বই থেকে নেওয়া যায় জীবনে সফল হবার নির্দেশনা।

অস্কারজয়ী সিনেমা

সিনেমাকে আমরা বিনোদন মাধ্যম ধরে নিলেও এতে আমাদের জীবনেরই প্রতিফলন থাকে। এই ছুটিতে দেখা যায় গত ৩০ বছরের ৩০টা অস্কারজয়ী সিনেমা। এইচএসসি’র পর ক্রিয়েটিভ কোনো বিষয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলে এই সিনেমাগুলো দেখা যেতে পারে।

লাইফ স্কিল

শেখা যায় নানা লাইফ স্কিল, যেগুলো ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে। যেমন— সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, রান্না, ফার্স্ট এইড দেওয়া, ড্রাইভিং ইত্যাদি।

ভ্রমণ

করোনার ভয় রয়েছে এখনো, তারপরও সম্ভব হলে কিছু জায়গায় এই ফাঁকে ঘুরে আসা যায়। কারণ ভ্রমণ করার জন্য যে সময় দরকার, খুব শিগগির সেটা আর আসবে না।

পরিশেষে

এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া মানে জীবনের এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছানো, এই সময়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তার ফলাফল দীর্ঘমেয়াদি।

তাই এসএসসি-র পরের এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে নিজের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।

বারবারোসলার : ভূমধ্যসাগরের তলোয়ার – (সকল পর্ব একসাথে)

2

বারবারোসলার একটি বেশ আলোচিত এবং সারা জাগানো তুর্কি সিরিজের নাম। এটি খাইরুদ্দিন বারবারোসা (হিজির রেইস) এবং তার ভাইদের ইতিহাস নিয়ে করা। খাইরুদ্দিন বা হাইরুদ্দিন সহ তারা ৪ ভাই ছিলেন যথাঃ-
প্রথমঃ- ইসহাক রেইস (ইসহাক আগা)
দ্বিতিয়ঃ- অরুচ রেইস (বাবা অরুচ)
তৃতীয়ঃ- হিজি / খিজির রেইস (হাইরুদ্দিন / খাইরুদ্দিন বারবারোস)
চতুর্থঃ- ইলিয়াস রেইস।

রেড বিয়ার্ড বা বারবারোস উপাধিঃ- তিনি ইউরোপীয়দের কাছে রেডবিয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণ তার ভাই অরুচের কমলা / লাল রঙের দাড়ি থাকার কারণে ইউরোপীয়রা তাদের ‘বারবারোসা ভাতৃদ্বয়’ উপাধি দিয়েছিলো। এরপর থেকে হাইরেদ্দীনের তুর্কী নামের সাথে ‘বারবারোস’ শব্দের এই ডাকনামটি যুক্ত হয়ে হয়।

বারবারোসলার : ভূমধ্যসাগরের তরবারী

আর তাদের চারভাইকে কেন্দ্র করে সিরিজ টি নির্মাণের কারণে এর নাম দেওয়া হয় বারবারোসলার যা তুর্কি ভাষায় বারবারোসার ভহুবচন। তারা ছিলেন ভূমধ্যসাগরের কিংবদন্তী তাই বলা হয়েছে ভূমধ্যসগরের তরবারী। বারবারোসলার : ভূমধ্যসাগরের তলোয়ার।

প্রাণ প্রিয় সিরিজ টি প্রতি বৃহস্প্রতিবার আমাদের দেশিয় সময় রাত ১২টায় TRT1 এ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আমাদের দেশে বাংলায় ডাবিং না হওয়ায়। ফেসবুকে অনেক পেইজ ও গ্রুপ বাংলা সাবটাইটেল প্রকাশ করে থাকে। আজ আমরা আপনাদের মাঝে নিত্যনতুন ভলিয়ম গুলি সিজন অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে নিয়ে হাজির হলাম।
চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

বারবারোসলার : ভূমধ্যসাগরের তলোয়ার (সিজন ১)

আপনাদের সুবিধার্থে একাদিক লিংক দেওয়া হয়েছে। একটি তে না পেলে অন্য টি তে চেষ্টা করুন। প্রতিটি ভলিউম এর বাংলা সাবটাইটেল আপলোড করার সাথে সাথে এই লিংক এ এড করা হবে। সেজন্য লিংক টা কপি করে রেখে দিতে পারেন। eracox.com/বারবারোসলার

বারবারোসলার ভলিয়ম ১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ

বারবারোসলার ভলিয়ম ২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিউম ৩

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া/ অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ

বারবারোসলার ভলিউম ৪

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া/ অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিউম ৫

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিউম ৬

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ

বারবারোসলার ভলিউম ৭

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া * দূর্বীন মিডিয়া ২ / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিউম ৮

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিয়ম ৯

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

বারবারোসলার ভলিউম ১০

লিংক সমূহঃ- দূর্বীন মিডিয়া / উসমান অনলাইন উসমান অনলাইন (সার্ভার ২) / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

ফেসবুক লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন /

বারবারোসলার ভলিউম ১১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / দূর্বীন মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া / ইসলামী অনুবাদ।

ফেসবুক লিংক সমূহঃ-

বারবারোসলার ভলিউম ১২

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া ২ / উসমান অনলাইন

সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া। (এখানে ক্লিক করারা সাথে সাথে সরাসরি ডাউনলোড হবে)

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

বারবারোসলার ভলিউম ১৩

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / অনুবাদ মিডিয়া ২ / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

বারবারোসলার ভলিউম ১৪

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া (এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে সরাসরি ডাউনলোড হবে)

বারবারোসলার ভলিউম ১৫

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ১৬

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন।

সরাসরি ডাউনলোড লিংক অনুবাদ মিডিয়া (এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে সরাসরি ডাউনলোড হবে)

বারবারোসলার ভলিউম ১৭

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

সরাসরি ডাউনলোড লিংক উসমান অনলাইন (এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে সরাসরি ডাউনলোড লিংক)

বারবারোসলার ভলিউম ১৮

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

সরাসরি ডাউনলোড লিংক উসমান অনলাইন (এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে সরাসরি ডাউনলোড লিংক)

বারবারোসলার ভলিউম ১৯

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ২০

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ২১ বাংলা সাবটাইটেল

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

বারবারোসলার ২২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

বারবারোসলার ভলিউম ২৩

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ২৪

লিংক সমূহঃ-

ফেসবুক লিংকঃ-

বারবারোসলার ভলিউম ২৫

লিংক সমূহঃ-

ফেসবুক লিংকঃ-

বারবারোসলার ভলিউম ২৬

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ২৭

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ২৮

লিংক সমূহঃ- অনুবাদ মিডিয়া / উসমান অনলাইন

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ২৯

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ৩০

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ৩১

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

ফেসবুক লিংকঃ- উসমান অনলাইন / অনুবাদ মিডিয়া।

বারবারোসলার ভলিউম ৩২

লিংক সমূহঃ- উসমান অনলাইন

– পরবর্তী ভলিউম প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই লিংক যুক্ত করা হবে, সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় – খুব সহজে রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন কার্যকর উপায়ে।

0

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে আজ আলোচনা করব আপনাদের মাঝ, চলুন শুরু করা যাক-

রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ । তবে মাত্রাতিরিক্ত রাগ আমাদের সুন্দর সম্পর্কগুলো নষ্ট করে। কর্মজীবনসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাগ দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়ই বরং তা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ-

কম সময়ে বেশি কাজ – কর্ম কৌশল।

তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা একটি অপরিহার্য বিষয়। রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো অনুসরন করুন। রাগ নিয়ন্ত্রণে নিম্নে বর্ণিত কৌশল বা পদ্ধতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কথা বলার আগে সময় নিন

রাগ উঠলে কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। যদি কথা বলতেই হয় তবে ভেবেচিন্তে বলুন। কারণ এ জন্য নতুন ও বড় আকারের ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। এটি একটি ভাল রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়

মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিন

হঠাৎ করে রাগের মাথায় কোনো কথা বা কাজ করে বসবেন না। সাধারণ ভদ্রতা দেখিয়ে তার সামনে থেকে চলে আসুন বা নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন।

একটু হেঁটে আসুন

একেবারেই রাগ সামলাতে না পারলে অল্প সময়ের জন্য হলেও একটু হেঁটে আসুন । এতে রাগ বাড়ার সুযোগই তৈরি হবে না এবং আপনার মনও একটু শান্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

ইতিবাচক চিন্তা করুন

প্রতিটি ঘটনার একটা ভালো দিক আছে সেটা চিন্তা করে বের করুন। যাই ঘটুক ঘটনার নেতিবাচক দিক না খুঁজে ইতিবাচক দিক খেয়াল করুন। যাতে রেগে যেতে না হয়।

ক্ষমা করতে শিখুন

মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই কারো ভুলের জন্য রেগে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না। রাগ পুষে না রেখে তাকে ক্ষমা করে দিন। এতে পরবর্তীতে আপনার নিজেরই ভালো লাগবে।

মেনে নেওয়ার অভ্যাস গড়ুন

সব সমস্যার সমাধান হয় না, কিছু প্রশ্নের উত্তর হয় না। তাই মেনে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ান। মেনে নেওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয়। জীবনে অপ্রাপ্তির পাশাপাশি অনেক প্রাপ্তিও আছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।

মাথা ঠান্ডা হলেই রাগের প্রকাশ করুন

তখনই আপনি রাগ প্রকাশ করুন, যখন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারছেন। যত রাগই হোক, অন্যকে অপমান করা কাজের কথা নয়।

রিল্যাক্সড হওয়ার চেষ্টা করুন

রিল্যাক্সেশনের মাধ্যমে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এ সময় জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। গান শুনুন, বই পড়ন, আপনার যা যা করতে ভালো লাগে তা করুন।

মানসিকভাবে স্থির থাকুন

মানসিক অস্থিরতা অতিরিক্ত রাগের একটি কারণ। মানসিক অস্থিরতায় সব কিছু ভুল মনে হয়। ফলে আমরা সামান্যতেই রেগে যাই। তাই মানসিকভাবে স্থির থাকুন।

সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন

পৃথিবীতে কারণ ছাড়া কোনো কিছুই ঘটে না। সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকবে। তেমনি আপনার রাগ হওয়ার কারণ থাকলে অবশ্যই তার সমাধান খুঁজে বের করে অতিরিক্ত রাগ পরিহার করুন।

রাগ না হওয়ার প্রতিজ্ঞা করুন

যাই কিছু হোক আমি রাগবো না- এ প্রতিজ্ঞাটা নিজেই নিজের কাছে করুন। রাগের পরিস্থিতি তৈরি হলে মনে মনে নিজে নিজেকে পরামর্শ দিতে থাকুন যে আমি রাগবো না। এতে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

রসবোধ বাড়ান

সবসময় সিরিয়াস না থেকে মাঝে মাঝে মজা করুন, কৌতুক করুন, পরিবেশকে হালকা করুন । রাগ হওয়ার অবস্থা তৈরি হচ্ছে বুঝতে পারলে সেটা স্বাভাবিক করার জন্য মজার কিছু করার চিন্তা করুন।

সংখ্যা উল্টো দিকে গণনা করুন

কোনো কারণে রেগে গেলে বা রাগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মনে মনে ‘90 second rule’ (৯০ থেকে উল্টো দিকে সংখ্যা গণনা) পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

মনোবিজ্ঞানীদের সাহায্য নেওয়া

উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করে যদি রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন, তবে মনোবিজ্ঞানীর সহায়তা নিতে পারেন।

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়

রাগ শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকেও বিচ্যুত করে। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায় খারাপ প্রভাব পড়ে।

তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে রেগে না গিয়ে নিজেকে সংযত রাখার কোনো বিকল্প নেই। আর আমরা সেই জন্যই আপনাদের মাঝে রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে আলোচনা করালাম।

পরিশেষে বলব যে যদি আপনার উপকারে আসে আমাদের কন্টেন্ট তাহলে কমেন্ট এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে যে কোন বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

নতুন শিক্ষাক্রম ও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম – বদলে যাওয়া দেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা

0

নতুন শিক্ষাক্রম এ এক নতুন শিক্ষা কারিকুলাম – বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম তথা জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে আমূল পরিবর্তন আনছে সরকার। প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনে জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদন করেন।

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম –

★ এসএসসি পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই
★ এইচএসসিতে বোর্ড পরীক্ষার পরিবর্তে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দু’টি পাবলিক পরীক্ষা।
★ তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে না কোনো পরীক্ষা
★ ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন।
★ একাদশের আগে কোনো বিভাগ থাকবে না।
★ ষষ্ঠ-দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন ১০টি বিষয় পড়তে হবে।
★ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (PEC) এবং স্কুল সার্টিফিকেট (JSC) পরীক্ষা থাকবে না।

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম – বিস্তারিত

এবার চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। সময় না বাড়িয়ে শুরু করছি।

নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য

নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের মূল লক্ষ্য পড়াশোনাকে আনন্দময় করে তোলা। একই সাথে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমানো। শ্রেণিকক্ষেই তাদের বেশির ভাগ পাঠগ্রহণ শেষ করা নিশ্চিত করা, অর্থাৎ পুরো শিক্ষাক্রম হবে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক।

নেই কোন বিভাগ বিভাজন

নতুন শিক্ষাক্রমে অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বিভাজন থাকছে না। দশম শ্রেণির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষাও নেয়া হবে না। দশম শ্রেণির পর এসএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তা হবে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে।

অভিন্ন ১০ বিষয়

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হবে। সেগুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। এরপর একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শাখা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম এর মূল্যায়ন পদ্ধতি

শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এসব শ্রেণিতে শতভাগ মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন ধারাবাহিকতার ওপর। ধারিবাহিক শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ৬০ শতাংশ, মূল্যায়ন হবে। বাকি ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার ভিত্তিতে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন কার্যক্রমের ভিত্তিতে এই দুই শ্রেণির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয়ের পুরোটাই মূল্যায়ন হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, 5 বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। এর বাইরে আরও পাঁচটি বিষয়ের শতভাগ মূল্যায়ন হবে ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে।

বিষয়গুলো—জীবন ও জীবিকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য শিক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। নবম ও দশম শ্রেণিতেও এই পাঁচটি বিষয়ে একইভাবে মূল্যায়ন হবে। এর বাইরে এই দুই শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার মাধ্যমে।

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নে বেশি জোর দেয়া হবে। এই দুই শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার মাধ্যমে এবং বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন।

সালভিত্তিক নতুন কারিকুলাম

২০২২ : প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১০০টি করে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং কার্যক্রম। তার মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসাকে যুক্ত করা হবে।
২০২৩ : প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি।
২০২৪ : প্রাথমিকের তৃতীয় ও চতুর্থ এবং মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণি।
২০২৫ : প্রাথমিকের পঞ্চম এবং মাধ্যমিকের দশম শ্রেণি।
২০২৬ : একাদশ শ্রেণি।
২০২৭ : সর্বশেষ দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন কারিকুলাম।

সাপ্তাহিক ছুটি

প্রাথমিকে সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন এবং মাধ্যমিক স্তরে দুই দিন ছুটি থাকবে। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং এসব দিবস পালন শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করার পর এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। একাদশ শ্রেণিতে বছর শেষে একটি ও দ্বাদশে আরেকটি পরীক্ষা নেয়া হবে। এ দু’টিই হবে পাবলিক পরীক্ষা । দুই পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হবে।

কমেন্ট করতে ভুলবেন না। অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ই-মেইল বা ফেসবুক এ। আপনার প্রতি অশেষ ভালবাসা।

নেতৃত্ব লাভের উপায়, সহজে নেতৃত্বে দক্ষতা অর্জন – দুর্দান্ত এক কর্ম কৌশল।

0

নেতৃত্ব লাভের উপায় নিয়ে আজ আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন আশা করি।

একজন নেতার উদ্যোগ, তদারকি, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা কর্মীদের মধ্যে কর্মস্পৃহা জাগ্রত করে ও কার্য সম্পাদনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। নেতৃত্ব কর্মক্ষেত্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেতৃত্বের এমন কিছু অপরিহার্য বিষয় নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া

ভালো দলনেতা আন্তরিক হন এবং প্রশংসার মাধ্যমে তার কর্মীদের উৎসাহিত করেন। নেতাকে সব সময় তার অধস্তনরা অনুসরণ করে। তাই তাকে হতে হয় ধৈর্যশীল, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ।

জ্ঞান পিপাসু হওয়া

একজন নেতাকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাধারণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার অধিকারী হতে হয়। অন্যের থেকেও শিক্ষা নিতে হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জ্ঞান অন্বেষণে সদা তৎপর থাকতে হয়।

নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণের দক্ষতা থাকা

একজন ভালো দলনেতার প্রধান গুণ হলো লক্ষ্য ও কৌশল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। এক্ষেত্রে কর্মীর কাজ নির্দিষ্ট করে দেবার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ছোট ছোট কাজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে হয়।

ভালো পরিকল্পনাকারী হওয়া

নেতৃত্ব লাভের উপায় সমূহের মধ্যে ভালো পরিকল্পনাকারী একটি।  ভালো ও দক্ষ দলনেতা নিজের অভিজ্ঞতার সাথে তার দলের সদস্যদের চিন্তাভাবনা সমন্বয় করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেন।

সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া

সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা নেতৃত্বের অন্যতম অংশ। তাই নেতাকে সকলের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আর সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেতৃত্ব লাভের উপায় সমূহের নূন্যতম।

সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকা

একজন দলনেতাকে অধস্তনদের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব রাখতে হয়। তাদেরকে কাজে উৎসাহ দিতে হয়। এছাড়াও প্রয়োজনে তিনি প্রতিষ্ঠানের অন্য দলগুলোকেও সহযোগিতা করেন। নেতৃত্ব লাভের উপায় সমূহের মধ্যে এটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।

ভালো শ্রোতা ও শিক্ষক হওয়া

দলনেতাকে তার কর্মীদের বুঝতে ভালো শ্রোতা হতে হয়। আবার কর্মীদের মাঝে তার জ্ঞানকে সহজেই শেয়ার করতে ভালো শিক্ষক হতে হয়। যাতে কর্মীরাও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।

যোগাযোগ দক্ষতা থাকা

যোগাযোগ দক্ষতা নেতার একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ, যা সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা আয়ত্ত করা

প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নেতাকে দায়-দায়িত্ব নিয়ে ঝুঁকি গ্রহণ করতে হয়। করে তাই তাকে এ ক্ষমতা আয়ত্ত করতে হয়।

দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা থাকা

নেতাকে সব ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নমুখী প্রয়োজনে তাকে বিকল্প কর্মপন্থা উদ্ভাবনসহ দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকা

আবেগ ব্যক্তিত্বকে দুর্বল করে দেয়। একজন সফল নেতাকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

দূরদর্শিতা থাকা

পূর্বানুমান সঠিক হলে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুফল পাওয়া যায়। তাই নেতাকে দূরদর্শী হতে হয়।

কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা

নেতাকে দলের সকলের নির্বিঘ্নে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। তিনি অধস্তনদের মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখেন।

সময় সদ্ব্যবহারের দক্ষতা থাকা

প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখতে নেতার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত – নেবার ক্ষমতা থাকতে হয়। একজন সফল নেতাকে দলকে সঠিক দিক নির্দেশনায় সফলতার পথে এগিয়ে নিতে হয়।

নতুন কিছু করার চেষ্টা করা

কোনো কিছুতে একটি সাধারণ কার্যপদ্ধতি মেনে চলা স্বাভাবিক, কিন্তু সেই সাথে কীভাবে কাজ করলে আরো ভালো ফল আসবে— সফল নেতাকে এটাও বিবেচনায় রাখতে হয়।

পরিশেষে

নেতৃত্ব শুধু কর্মজীবনে নয় ব্যক্তিজীবনেও সাফল্য লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ওপরের বিষয়গুলি আয়ত্ত করতে পারলে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

এরকম কর্ম কৌশল নিয়ে লেখা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ফেইসবুক পেইজ। আপনিও আপনার লিখা লিখতে পারেন ইরাকক্সে।

মন্তব্য করতে ভুলবেন না।

error: Content is protected !!
Exit mobile version